ক্যাপ্টেন(অবঃ) মারুফ রাজুঃ আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জেরা শেষে আগামী ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এ মামলার জেরা শুরু হয় বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে। মামলার বিবাদি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আদালতে জেরা চলে। মামলার বাদি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের উপ পরিচালক হারুন অর রশীদকে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এদিকে মলায় হাজিরা দিতে সোমবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজের অস্থায়ী আদালতে ১০টা ৪০ মিনিটে বিচারকাজ শুরু হয়।
এই আদালতে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবু আহমেদ জমাদার। জেরা শেষে তিনি আগামী ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ ওই আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর থেকেই এ বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওই অনাস্থার মধ্যেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এরপর গত ১৮ ডিসেম্বর তাকে বদলি করে আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেয়া হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
আসামি তারেক রহমান দেশের বাইরে আছেন। মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ জামিনে আছেন। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু হতেই কানাডায় অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
এই মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।