ক্যাপ্টেন(অবঃ) মারুফ রাজুঃ প্রশ্ন প্রণয়ন ও বিতরণের সঙ্গে যে সকল সরকারি লোকজন জড়িত তাদের একাংশ কোনো না কোনো পর্যায়ে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গেও জড়িত।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস : প্রক্রিয়া, কারণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ উঠে এসেছে।
টিআইবির গবেষণার মাধ্যমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো— প্রশ্ন প্রণয়ন ও বিতরণের সঙ্গে যে সকল সরকারি অংশীজন জড়িত তাদের একাংশ কোনো না কোনো পর্যায়ে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গেও জড়িত। ফাঁসকৃত প্রশ্ন ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকে বেসরকারি পর্যায়ের একাধিক অংশীজন।
প্রশ্ন তৈরী, ছাপানো ও বিতরণের তিনটি পর্যায়ে প্রায় ১৯টি ধাপে প্রশ্ন ফাঁসের ঝুঁকি বিদ্যমান রয়েছে বলে গবেষেণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
গবেষণা পরিকল্পনা ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করেছেন টিআইবির রিসার্চ এ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিহার রঞ্জন রায়, নীনা শামসুন নাহার ও রুমানা শারমিন।
প্রশ্ন ফাঁস সম্পর্কিত কিছু তথ্য
বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে এ প্রবণতা শুরু হয়। পরে গত শতকের সত্তরের দশক থেকে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও গত পাঁচ বছরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ একটি নিয়মিত ঘটনা হিসেবে পরিলক্ষিত হয়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চার বছরের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৩টি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার সবগুলো পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগের তথ্য পাওয়া যায়।