ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ব্যক্তিগত তথ্য বাংলাদেশ সরকারকে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।
আর এই ঘটনায় যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থানও স্পস্ট হয়ে গেলো বলে সংশ্লষ্টরা মনে করেন।বিশেষ আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে ফেরৎ আনার ব্যবস্থা হচ্ছে কিংবা ইন্টারপোলের রেড আ্যলার্ট জারীর ভূয়া সংবাদ প্রচার ইত্যাদি যে শুধুই প্রচার প্রচারনা তাতে আর কোনো সন্দেহ রইলো না।সামান্য ব্যক্তিগত তথ্যই যেখানে যুক্তরাজ্য এই সরকারকে দিচ্ছে না ,সেই অবস্থায় তারেক রহমানকে ফেরৎ পাঠানোর তো প্রশ্নই উঠে না বলা বাহুল্য।
গত জুন মাসে হাইকোর্টের এক শুনানিতে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক আদালতকে এ তথ্য জানান । তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক জানান, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ এর মধ্যে তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান এবং ঠিকানা জানানোর জন্য যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ দপ্তরকে ই-মেইলে অনুরোধ জানানো হয়।
জবাবে যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র এবং কমনওয়েলথ দপ্তর থেকে জানানো হয়, যুক্তরাজ্যের তথ্য নিরাপত্তা আইন-১৯৯৮ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় কাউকে জানানোর সুযোগ নেই।
পররাষ্ট্রসচিব এফিডেভিটের মাধ্যমে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক আদালতকে আরো জানান, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য না থাকলেও হাইকমিশন জানতে পেরেছে বর্তমানে তিনি লন্ডনের কিংস্টনে রয়েছেন। চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন তারেক রহমান। ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়।
যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের ২ জুন তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং কন্যার পাসপোর্ট বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে ফেরত দেয়।