ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ফেলানী হত্যা মামলার বিচারিক পদ্ধতি নিয়ে যদি তার পরিবারের কোনো আপত্তি থাকে, তবে বিএসএফের পক্ষ থেকে অন্য আদালতে আবারো বিচারের জন্য মামলা করা হবে বলে বিজিবিকে জানিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃপক্ষ। গত ২-৬ আগস্ট পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বিএসএফ সদর দফতরে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে ফেলানীর বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএসএফের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয় বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
রোববার সকাল ১১টার দিকে বিজিবি সদর দফতরের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা বিএসএফের কথায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছি। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে ফেলানীর বিচারের ক্ষেত্রে কিছু করার নাই। কারণ বিষয়টি বিচারাধীন। আমি সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ ডিজি মহাদয়কে একান্ত আলাপকালে ফেলানী হত্যার পর বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট সম্পর্কে জানিয়েছি।
তিনি বলেছেন, ভারতের নিম্ন আদালত থেকে ফেলানী সম্পর্কে যে রায় দিয়েছে, তাতে বিএসএফ এখনো অনুমোদন দেয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএসএফ ডিজি আমাকে বলেছেন, ফেলানীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। তারা যদি এই রায় নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে অথবা সংক্ষুব্ধ থাকে, তবে আইনজীবীদের মাধ্যমে আমাদের জানান। আমরা প্রয়োজনে অন্য আদালতে মামলা করব।’
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে ফেলানীর পরিবারের সঙ্গে আইনজীবীদের কথা বলার ব্যবস্থা করব। এজন্য বিজিবির পক্ষ থেকে ফেলানীর পরিবারকে যেসব সহযোগিতার করা দরকার তা সব দেওয়া হবে।’
সীমান্ত হত্যার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় সীমান্ত হত্যা এ বছর কমেছে। যেখানে গত বছর ৪০ জন হত্যা ছিল, এবার সেখানে গত আট মাসে ২৬ জন হয়েছে। আর সীমান্ত হত্যার মূল কারণ হচ্ছে গরু পারাপার। বাংলাদেশের কোনো ব্যক্তি সীমান্তে গরু আনতে গেলেই বিএসএফ গুলি করে।
তাই বিএসএফ বলেছে, বাংলাদেশের কোনো রাখাল যেন সীমান্তে গরু আনতে না যায়।’