ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়েছিলো বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে তারেক রহমান একাধিক পাসপোর্ট ধারণ করেননি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনগুলো রেকর্ডে নিয়ে রোববার (৯ আগস্ট) তারেকের বিষয়ে ইতিপূর্বে জারি করা রুল শুনানি প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ২৩ জুন এক আদেশে এ বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ আদেশের প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট এমন প্রতিবেদন দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ। রোববার প্রতিবেদনের বিষয়ে অদেশের দিন ধার্য ছিল।
বিদেশে বসে বঙ্গবন্ধুর নামে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করা নিয়ে গত ৭ জানুয়ারি তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে রুল জারি এবং তারেকের বর্তমান অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট।
এ আদেশের বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের পর গত ২৩ জুন তারেক রহমানের একাধিক পাসপোর্ট এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতের এ আদেশ অনুসারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনগুলো দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে জামিনে মুক্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তারেক। সেই থেকে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তার(তারেক) পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। যার মেয়াদ ছিলো ২০১০ সালের ৩ জুন পযন্ত। পরে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিবের অনুরোধে ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেকের পাসপোর্টের মেয়াদ আবারো বাড়ানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত/ডেপুটি হাইকমিশনার(লন্ডন) আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব মো. আব্দুল করিম আমাকে তারেক রহমানের পাসপোর্ট নবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন। এ বিষয়ে আমি হাইকমিশনের তৎকালীন মিনিস্টার (কনস্যুলার বিষয়ক) এনামুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে স্বরাষ্ট্র সচিবের নির্দেশনা তাকে অবহিত করি।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারেক রহমান একই মেয়াদে একাধিক পাসপোর্ট ধারণ করেননি। পাসপোর্টের বৈধ মেয়াদের মধ্যে পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে নীতিমালা মোতাবেক তার অনুকূলে নতুন পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে।