ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কখোনোই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
সোমবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, ‘জিয়ার ক্ষমতা গ্রহনের পরই তার আসল চেহারা প্রকাশ পায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি আইন করেছিলেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের দেশের দায়িত্ব দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। তাই আমার কখনোই বিশ্বাস হয় না, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট।’
তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসিত করে পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এদেশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে কাজ করেছিলেন।’
একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিগুলো ধর্মীয় ছদ্মবেশে এখনও তৎপর রয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একাত্তরে এ স্বাধীনতাবিরোধীরা মানুষ হত্যা করেছিল। সেই শক্তিই এখন নিলয়, রাজীব ও অভিজিতের মতো মুক্তমনাদের হত্যা করছে। তারা ধর্মীয় ছদ্মবেশে একেক সময় একেক নামে তৎপর ছিল, এখনও তৎপর রয়েছে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক প্রমুখ।
প্রতিবেদকের বক্তব্যঃ
আওয়ামী লীগ সরকারের অব্যাহত মিথ্যাচার সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে আমি মনে করি।নীচে ইনডেনিটি অধ্যাদেশের সরকারী গেজেট প্রকাশ করা হলো।লক্ষ্য করুন এই অধ্যাদেশ পাশ হয় ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ এবং তাতে সাক্ষর করেন তৎকালীন আওয়ামী প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ।ঐ সময় জিয়াউর রহমান তো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাতেই ছিলেন, না তাহলে এসব মিথ্যা কথা বলে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড় চাপানোর চেষ্টা কেন যে হানিফ সাহেবরা করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।আর বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ঘোষনাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের প্রধান এবং সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান,বীর উত্তমের ব্যাপারে এধরনের অর্বাচীন মন্তব্যের জবাব দেবার কোন প্রয়োজন আমি বোধ করছি না।জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কি ছিলেন না, তা নির্ধারনের ভার আমি বাংলাদেশের জনগনের উপর ছেড়ে দিলাম – ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু ।