DMCA.com Protection Status
title="৭

বাড্ডায় শোক দিবসের চাঁদার টাকা ভাগাভাগিতে দ্বন্দ্ব, গুলিতে আওয়ামী লীগের ২জন নিহত

badda-al-murderক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর বাড্ডায় ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উঠানো চাঁদার টাকা ভাগাভাগি  নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের একপক্ষের গুলিতে আরেক পক্ষের দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড্ডার আদর্শনগর পানির পাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ঢাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শামসু মোল্লা (৫৩) স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও উত্তর বাড্ডার বেসরকারি এইচএএফ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ আহমেদ মানিক (৪৫)। আহত দুজন হলেন বাড্ডা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আবদুস সালাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান গামা।

এর মধ্যে সালামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও গামামে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোডে কমার্স কলেজের কাছে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ের কাছে পানির পাম্প সংলগ্ন একটি ঘরে বসে শোক দিবস পালনের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক চলছিল। রাত সাড়ে ৯ দিকে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দলের কয়েকজন এসে তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন শামসু, মানিক, সালাম ও গামা। দ্রুত তাদের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মানিক ও শামসুকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবিদ্ধ গামার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সালামকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সালাম বলেন, ‘আদর্শ নগর লিংক রোড মধুবন বেকারীর সামনে আমরা বসা ছিলাম। হঠাৎ দুই থেকে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে আমরা সবাই গুলিবিদ্ধ হই। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসবক লীগের সহসভাপতি মারুফ আহমেদ মানিক বলেন, তারা ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছিলেন, ওই সময় অতর্কিত হামলা হয়। তিনি বলেন, আমি আলোচনা থেকে উঠে বাথরুমে গিয়েছিলাম, এর মধ্যেই শুনি গুলির শব্দ, এসে দেখি চারজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আরিফুর রহমান এবং গামার সহযোগী তাহসীর রহমান সৈকত সাংবাদিকদের বলেন, তিন থেকে চারজন হেঁটে এসে গুলি চালায়।

সৈকত বলেন, আহসানিয়া হাসপাতালের দিক থেকে এসে গুলি চালিয়ে তারা হোসেন মার্কেটের দিক দিয়ে হেঁটে চলে যায়। তিনি দাবি করেন, হামলাকারীদের দুজনের হাতে অস্ত্র ছিল। তাদের টার্গেট ছিল গামা। প্রথম গুলিটি গামাকে লক্ষ্য করেই করা হয়। এরপর তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান ঘটনাস্থল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বলেন, নিহতদের শরীরে গুলির একাধিক চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে তাদের উপর হামলা হয়েছে, তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি হত্যাকারীদের আইনের হাতে সোপর্দ করতে পারবো।

রাজনৈতিক, এলাকার আধিপত্য, ব্যক্তিগত, ব্যবসা- সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। থানা পুলিশের পাশাপাশি র্যােব এবং গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!