DMCA.com Protection Status
title="৭

বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা অতীতে এমন আক্রমণের শিকার আর হয়নি: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

hrwক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা অতীতে এমন নজির বিহীন আক্রমণের শিকার আর কখনও হয়নি বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির সাউথ এশিয়া ডিরেক্টর মিনাক্ষী গাঙ্গুলি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা এখন চাপাতির আক্রমণের শিকার বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।সম্প্রতি ভিন্নমতাবলম্বী কয়েকজন ব্লগার নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পটভূমিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিটির বঙ্গানুবাদ নীচে দেয়া হলোঃ

মিনাক্ষী গাঙ্গুলীঃবাংলাদেশে বাক স্বাধীনতা এক অভূতপূর্ব আক্রমণের সম্মুখীন। একদিকে চাপাতিধারী উগ্রপন্থী, অন্যদিকে অপরাধের গন্ধ খুঁজে বেড়ানো সরকার। উভয়ের ফাঁকে বাক স্বাধীনতা যেন জিম্মি। ধর্ম-নিরপেক্ষতা প্রচারের কারণে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাতে চার ব্লগার এ বছর খুন হয়েছেন। ধর্ম-নিরপেক্ষতাকে উগ্রপন্থীরা ‘ইসলাম-বিরোধী’ হিসেবে বিবেচনা করে। এ মাসের শুরুর দিকে ব্লগার নীলয় নীল হত্যাকা-ের পর আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আনসার আল ইসলাম নামে একটি উগ্রপন্থী দল এর দায় নিয়েছে। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতেও এমন হামলা আরও ঘটবে। পুলিশ নীলয় নীল ও অন্যান্য নিহত ব্লগারের ওপর হুমকির বিষয়টি জানতো। কিন্তু তাদের সুরক্ষা দিতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে।

একটি ন্যায়পরায়ণ সরকার দ্রুত এ হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাতো। একই সঙ্গে আক্রমণকারীদের ধরার চেষ্টা করতো। কিন্তু তার পরিবর্তে পুলিশ সবার আগে ব্লগারদের প্রতি আত্ম-নিষেধাজ্ঞা (সেলফ-সেন্সরশিপ) আরোপের আহ্বান জানালো। পুলিশের প্রধান পরিদর্শক একেএম শহিদুল হক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা একটি অপরাধ। নীলয় নীল হত্যাকাণ্ডের তিন সন্দেহভাজনকে আটক করতে পুলিশের ১ সপ্তাহেরও বেশি লেগেছে। অথচ অভিযুক্ত দায়ীদের পরিচয় সম্পর্কে পুলিশ জানতো। পুলিশ প্রধানের বক্তব্য ছিল মর্মপীড়াদায়ক, কিন্তু বিস্ময়কর নয়। কারণ বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ক্রমবর্ধমানহারে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।

এ সপ্তাহেই ফেসবুকে এক মন্ত্রী ও আরেক রাজনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের দায়ে প্রবীন সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সরকারী কৌঁসুলিরা বলেছেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহার করে মন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন প্রবীর শিকদার।
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের একটি আদালত আইটি শিক্ষক রুহুল আমিন খন্দকারকে তার অনুপস্থিতিতে তিন বছরের কারাদ- দিয়েছে। একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকারের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করায় রাজনীতিকদের দায়ী করে এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে কীভাবে এ ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে পেরেছেন, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি ২০১১ সালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এটিই তার অপরাধ। এ মন্তব্যের কারণে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচারকরা তার দোষ খুঁজে পেয়েছেন।

দুই সপ্তাহ আগে ২টি প্রখ্যাত মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনা করে বিবৃতি দিয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- ও অন্যান্য নির্যাতন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওই ২ মানবাধিকার সংগঠন। বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, যেসব কর্মকা- পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন করে, তা মানহানির পর্যায়ে পড়ে। একে নাশকতামূলক হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশের উচিত পন্থা পরিবর্তন করা, আন্তর্জাতিক মানদ- গ্রহণ করা, সাংবিধানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। যত দ্রুত সম্ভব এসব করা উচিত। কেননা, যতদিন ধরে কর্তৃপক্ষ বাক-স্বাধীনতার ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত রাখবে, ততদিন নিজেদের প্রাণ হারানোর ঝুঁকিতে থাকবেন সোচ্চার মানুষরা।

মূল ইংরেজী বিবৃতিটি এবং এর লিংক নীচে দেয়া হলোঃ

HRW Statement Link :
https://www.hrw.org/…/dispatches-bangladeshs-machete-attack…

Dispatches: Bangladesh’s Machete Attacks On Free Speech

 
 
 

 

 

 

 

 

 

Free speech in Bangladesh is under attack as never before, held hostage between angry, machete-wielding radicals on one hand and a government, quick to take offence, on the other.

Four bloggers have been murdered this year by religious extremists for promoting secularism, a principle which these groups consider to be anti-Islam. Following the killing of blogger Nilroy Neel earlier this month, Ansar Al Islam, an insurgent group linked to Al-Qaeda, claimed responsibility, saying they had the “permission of Allah” and warning of further attacks. While police were aware of threats to Nilroy Neel and the other slain bloggers, they failed to properly protect them.

Niladri Chakrabarti, a Bangladeshi blogger who wrote about religious fundamentalism and secularism, in a photo from his Facebook page. He was hacked to death on August 7th, 2015. 

 

 

A reasonable government would have swiftly condemned these murders, and tried to hunt down the attackers. Instead the police’s first instinct was to urge self-censorship, with Bangladesh’s inspector general of police, AkM Shahidul Hoque, warning that “hurting religious sentiments is a crime.” It took more than a week for police to arrest three suspects in Nilroy Neel’s murder, despite the alleged perpetrators’ identities being known to the police.

The police chief’s comments were shocking, but not surprising, because Bangladeshi authorities are increasingly cracking down on freedom of expression.

 

Bangladesh needs to change course, adopt international standards, and uphold constitutional freedoms, and do it fast

 

Just this week, the journalist Probir Sikdar was arrested by the dreaded Detective Branch, a specialist police intelligence unit, for his Facebook posts accusing a cabinet minister and other politicians of committing war crimes during the country’s war for independence. The prosecutor said Sikdar had “cast aspersion on the minister using information technology”.

Last week, a Bangladesh court sentenced IT lecturer Muhammad Ruhul Amin Khandaker in absentia to three years in prison for a 2011 Facebook post on the death of an acclaimed Bangladeshi filmmaker in a road accident, blaming politicians for not ensuring road safety and wondering how the prime minister was spared such mishaps. For this remark, judges found him guilty of sedition.

And just two weeks ago the police issued a statement criticizing two prominent human rights groups for reporting on extrajudicial executions and other abuses by security forces, saying any activity that harms the police reputation amounts to defamation, and can be considered subversive.

Bangladesh needs to change course, adopt international standards, and uphold constitutional freedoms, and do it fast. Because as long as authorities continue to crush free speech, those who speak out risk losing their lives. 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!