ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়ায় এবার আমেরিকা ও কানাডাকে বেশ এক হাত নিলেন সাবেক ন্যাপনেত্রী,হালের কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমেরিকা কিংবা কানাডার প্রেসিডেন্টের খুনিকে আমরা আশ্রয় দিলে তারা কী করতো? তারা কিন্তু আমাদের ছেড়ে দিতো না। তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত না দিয়ে এতো লম্বা লম্বা কথা আসে কোথা থেকে?
’ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শেখ রাসেল চেস ক্লাব আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি দেশ দুটির কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘আপানারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছেন। সুতরাং মানবাধিকারের জন্য লম্বা লম্বা কথা আপনাদের মুখে মানায় না।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আমেরিকা কিংবা কানাডার প্রেসিডেন্টের খুনিদের আশ্রয় দিলে তারা ছেড়ে কথা বলতো না। আমাদের বিরুদ্ধে তারা অবশ্য ব্যবস্থা নিতো। অধিকার শুধু কি তাদের? শিশু শেখ রাসেলের অধিকার কোথায়? সকল শিশু হত্যার বিচার করতে হবে। তাহলেই দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করতে পারতাম, এটা সবাই বিশ্বাস করলেও আমি করি না।’
বঙ্গবন্ধুর আমলে তার চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাবার ঘোষনা দেয়া এই মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মনে রাখতে হবে- উনি (শেখ হাসিনা) কিন্তু শুধু পিতা ও আত্মীয়-স্বজনের হত্যার বিচার করেই থেমে যাননি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, যে বিচার বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাঝ পথে জিয়াউর রহমান বাতিল করেছিলেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না হলে এদেশে কখনো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে নিহতের পরেও জয় এবং পুতুলকে নিয়ে জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। বাচ্চাদের তিনি বিদেশে রেখে আসেননি।’
সংগঠনের সভাপতি কেএম শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে আলেচনায় আরো বক্তব্য দেন- প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু, সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ডা. সিরাজুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল তারেক প্রমুখ।