ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজুঃ কি ঘটতে যাচ্ছে বাংলাদেশে ??? সর্বত্র একই প্রশ্ন ,একই গুন্জন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে । দলের ২য় প্রধান নেতা সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডনে অবস্থান করছেন । বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্যা ফখরুলও চিকিৎসার্থে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
অপর দিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারন পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাবেন।সেখান আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষন দেবেন তিনি।আওামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ আগামী পরশু রোববার লন্ডন যাচ্ছেন।এরাই সবাই ফিরবেন সম্ভবতঃ অক্টোবরের ১ম সপ্তাহের শেষে।
এভাবে দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব একসাথে দীর্ঘদিনের জন্য দেশের বাইরে চলে যাওয়া অভূতপূর্ব ।দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং কোন জাতীয় দূর্যোগ ঘটলে কে দেশের দ্বায়ীত্বে থাকবেন তাও পরিষ্কার নয় এক্ষেত্রে।
তবে কি আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির প্রচছন্ন আভাস পাচ্ছি আমরা ? জেনে শুনেই কি এতোদিন বিদেশে থাকার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ? নতুন জাতীয় নির্বাচনের প্রবল মনস্তাত্বিক চাপ হালকা করতে কি এই নতুন চাল চালতে চলেছেন তিনি ?
ইতিমধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ ক্ষমতা গ্রহন করলেও তিনি বহির্বিশ্বের পূর্ন সহানূভূতি এবং সহযোগিতা পাবেন সহজেই । নিজ পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনা ঘটিয়েও দেশে বিদেশে সবখানে বিএনপি কে এর জন্য দোষারোপ করে আওয়ামী লীগের হারানো জনসমর্থন ফিরিয়ে আনবেন তিনি,জনমনে এধরনের বহু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ইদানিং।
যাই হোক দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর প্রতি জনসাধারনের আস্থা ও বিশ্বাস এখনও অটুট রয়েছে।আমরা আশা করবো দেশরক্ষা বাহিনী জনগনের পক্ষে থেকেই তাদের উপর ন্যস্ত দায়ীত্ব ও কর্তব্য পালন করে যাবে অবিচল ভাবে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগনই দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং জনগনের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে যে কোন পদক্ষেকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারন।