ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্প্রতি বাংলাদেশের নৌ – মন্ত্রনালয় যে ২১টি মসজিদকে অবৈধ দাবি করে ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে , তার মধ্যে একটি মসজিদের নাম ‘তারা মসজিদ’ । মসজিদের শহর ঢাকা একসময় জগৎ বিখ্যাত ছিলো এই মসজিদগুলোর জন্য ।
কালের বিবর্তনে এবং সময়ের প্রয়োজনে শহর বিস্তার লাভ করেছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে অনেক নতুন স্থাপনা তৈরী হওয়ায় এই অমুল্য মসজিদগুলো হয়তো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কিন্তু তাই বলে তা ভেঁঙ্গে ফেলতে হবে কেন ?সুষ্টু পরিকল্পনার মাধ্যমে এই এবাদত খানা গুলোকে সংরক্ষন এবং রক্ষনাবেক্ষন করাই হবে যুক্তিযুক্ত কাজ।
বাংলাদেশের মতো মুসলিম প্রধান দেশে অবৈধ স্থাপনা বলে মসজিদ ভাঁঙ্গা শুরু করলে তা ধর্মপ্রান মুসলমানদের মনে সরকারের প্রতি বিরুপ ধারনার সৃষ্টি করতে পারে।অবিলম্বে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সকল ধর্মপ্রান বাংলাদেশীর তীব্র প্রতিবাদ করা উচিৎ।
আলোচ্য তারা মসজিদটি লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অবস্থিত। তারা মসজিদ সম্পর্কে যে কয়টি তথ্য জানা জরুরী :
১) মসজিদটি প্রায় ৭০ বছরের পুরাতন ।
২) মসজিদটি অসম্ভব সুন্দর স্থাপস্ত্যশৈলী সমৃদ্ধ ‘তারকা’ খচিত ।
৩) মসজিদটির যায়গা ওয়াকফ করেছেন সাবেক জেলা জজ বাহাদুর মুজাফফর উদ্দিন সাহেব। তার পুত্র বাংলাদেশ পুলিশের সাহেব আইজি মহিউদ্দিন সাহেব। তার মেয়ে এরশাদ আমলের মন্ত্রী নাম আমিনা । মসজিদটির প্রয়োজনীয় সকল দলিল-পত্র সংরক্ষিত আছে ।
৪) মসজিদটি প্রায় ৩০ কাঠার উপর স্থাপিত ।
৫) মসজিদটি নদী তীর থেকে প্রায় ৪০০ ফুট দূরে অবস্থিত। মসজিদের পরে নদীর কাছে আরো অসংখ্য স্থাপনা রয়েছে, যা বেড়িবাধ নির্মাণের পর তৈরী হয়েছে। মসজিদটি ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত, তার সাথে নদী দখল বা নদী তীরের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, নেই কোন যোগসূত্রও।
নৌ মন্ত্রনালয় হঠাৎ করে এ ধরনের একটি প্রচীন ও কারুকার্যমন্ডিত মসজিদকে অবৈধ বলে প্রচার করায় হতবাক হয়ে পড়েছে লালবাগবাসী। তাদের এক কথা, “মসজিদ ওয়াকফ করা যায়গায় বানানো হয়েছে, এর দলিলও আছে। নদীর সাথে এর বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এটা অবৈধ হয় কোন প্রমাণের ভিত্তিতে? এ প্রশ্ন এখন সকল লালবাগবাসীর।