দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের খেলোয়াড় খুব কম বেতনই পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা যে বেতন কম পান সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও জানে।
বেতন বাড়ানোর দাবিটি অনেকদিন ধরেই করে আসছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা। এবার বিষয়টি আমলে নিচ্ছে বিসিবি। ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে পরিচালকগণ খেলোয়াড়দের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকেই ক্রিকেটারদের বেতনের আওতায় আনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
২০০০ সাল থেকেই নিয়মিত বেড়েছে ক্রিকেটারদের বেতন। ২০১৫ সালে করা বিসিবির বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ১৪ জন ক্রিকেটার।
খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার হয় পাঁচটি ক্যাটেগোরিতে। ক্যাটেগরিগুলো হল- ‘এ’ প্লাস, ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ডি। যেখানে সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ। আর সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা।
‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে আছেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তারা প্রত্যেকে ২ লাখ টাকা করে বেতন পান।
‘এ’ ক্যাটেগোরিতে অবশ্য এখন কোনো ক্রিকেটার নেই। তবে এই ক্যাটেগোরির বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
বি ক্যাটেগোরির বেতন কাঠামো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই তালিকায় রয়েছেন রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন ও ইমরুল কায়েস।
‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন মুমিনুল হক, এনামুল হক বিজয় ও শফিউল ইসলাম। তারা পান ৯০ হাজার টাকা করে।
আর ডি ক্যাটেগোরিতে আছেন তাইজুল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও আরাফাত সানি। এরা পান ৬০ হাজার টাকা করে।