ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ রাত দশটায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানযোগে নিউইয়র্কর জেএফকে বিমানবন্দরে অবতরন করেন বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । জাতিসংঘ সাধারন পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে ৮০ জনের এক বিশাল বহর নিয়ে এই বিতর্কিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন ।
৫ই জানুয়ারীর ভোটার বিহীন একদলীয় নির্বাচনের মধ্যমে বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা আকড়ে থাকা সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে তাকে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির নেতা-কর্মী এবং সচেতন প্রবাসী বাংলাদেশী সমাজ। তারই ফলশ্রুতিতে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীগন জেএফকে টার্মিনাল-৭ এর সানে অবস্থান নেন ।
ঐসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অল্প কিছু নেতা কর্মীকে দেখা গেলেও তারা ছিলেন হাসিনা বিরোধীদের তুলনায় অত্যন্ত নগন্য । এ পর্যায়ে কোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে নিউইয়র্ক পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য টার্মিনাল-৭ এবং বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নেয় ।
উল্লেখ্য হাসিনার আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের বৈধ অনুমতি পুলিশ,জেলা প্রশাসন এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথা সময়ে নেয়া থাকায় পুলিশ বিক্ষোভ কারীদের কোনরুপ বাধা দেয়ার চেষ্টা করেনি।
রাত দশটা নাগাদ পরিস্থিতি আরও বিষ্ফোরন্মুখ হয় উঠলে হাসিনাকে সদর দরজা দিয়ে বের হতে দেয়া অনিরাপদ মনে করে কর্তৃপক্ষ ।ঐসময় হাসিনা বিরোধী শ্লোগানে বিমানবন্দর এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে।অবস্থা বেগতিক দেখে কতৃপক্ষ শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরের পেছনের বিশেষ দরজা দিয়ে শহরে পাঠাতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশের স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী যিনি সচরাচর বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যে কোন বাধা অতিক্রম করে চলাচল করতে অভ্যস্ত তিনি আজ বিশ্বগনতন্ত্রের পীঠস্থান যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দর থেকে পেছনের দরজা দিয়ে চোরের মতো পালাতে বাধ্য হলেন ।তার ধামাধরা আওয়ামী চামচারাও হাসিনা বিরোধীদের প্রবলস্রোতে খড়কুটোর মতো ভেসে যায়।
আজ বিমানবন্দরের হাসিনা প্রতিরোধ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ,যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতীফ সম্রাট , যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপত সরাফত হোসেন বাবু , যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন , যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ ,যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল ,যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু সহ অসংখ্য বিএনপি নেতা কর্মী এবং দেশপ্রেমীক বাংলাদেশী গন ।
এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অবৈধ হাসিনা তার যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান কালে যেখানে যাবেন সেখানেই প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষনা করা হয়। সমাবেশ থেকে অনতি বিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার এবং গনতন্ত্র ফিরিয়ে দবার জোর দাবী জানানো হয় এবং বৃহত্তর আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করা হয় ।