যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আজ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নজীরবিহীন এক প্রবল প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের মুখে পড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১টি স্টেট থেকে আগত হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ দলে দলে ম্যানহাটনস্থ জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় শ্লোগানে শ্লোগানে জাতিসংঘের সদর দফতর এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা রক্ষীরা জাতিসংঘ অফিসের পেছনের বিশেষ দরজা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রবেশ করেন ।
এরপর বিক্ষোভকারীরা নিউইয়র্কের হোটেল হিল্টনের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেয় বিক্ষুব্দ প্রতিবাদকারীগণ। আজ সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়ার কথা ছিলো।
অভূতপূর্ব বিশাল এই প্রতিরোধ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল লতীফ সম্রাট , যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু , যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন , যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপি নেতা আব্দুস সবুর, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, কাজী আজম, জসিম উ. ভুইয়া, ভিপি জসিম, গিয়াস উদ্দিন, এম এ খালেক আকন্দ, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল সভাপতি আতাউর রহমান আতা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক বৈদেশিকদূত ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার, কেন্দ্রীয় যুবদলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, তথ্য ও গভেষণা সম্পাদক তোফায়েল লিটন চৌধুরীসহ অসংখ্য বিএনপি নেতা কর্মী এবং প্রবাসীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অনতি বিলম্বে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তনের জোর দাবী জানানো হয়। এছাড়াও সরকার পতনের বৃহত্তর আন্দোলনের সাথেও একাত্বতা ঘোষণা করেন বিক্ষোভকারীরা।