DMCA.com Protection Status
title="৭

প্রবাসীদের মনে ব্যপক প্রশ্নঃ খোকা,সালাম ও মিল্টনরা হাসিনা প্রতিরোধ আন্দোলনে নেই কেনো ?

nyun1ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গেলো কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের হাসিনা বিরোধী প্রতিরোধ বিক্ষোভ ছিলো চোখে পড়ার মতোই ।

khoka5বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফর প্রতিহত করতে জেএফকে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জাতিসংঘ সদর দফতর,হিলটন হোটেল যেখানেই হাসিনা গেছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানেই হাজির হয়ে ব্যপক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ।

milton6তাদের এ বিক্ষোভ সমাবেশে বিদেশীরা অবশ্যই বাংলাদেশে হাসিনার গ্রহনযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ধারনা ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন।

যু্ক্তরাষ্ট্র বিএনপির নিবেদিত প্রান সাবেক নেতারা স্বতস্ফুর্ত ভাবে এই কর্মসূচী গুলো সফল করায় কাজ করে যাচ্ছেন।কিন্তু এই সব কর্মসূচীতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির বিতর্কিত কিছু কেন্দ্রীয় নেতা এবং তাদের মুষ্টিমেয় কিছু ধামাধরার ভূমিকায় জনমনে আজ ব্যপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

milton2ক্যান্সার চিকিৎসার অজুহাতে দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা,ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখের ভূমিকা নিয়ে সাধারন নেতা কর্মীদের রয়েছে প্রবল ক্ষোভ ।এই দুজনই বিএনপির আমলে প্রভূত ধনসম্পদ অর্জন করলেও আজ বিএনপির দূর্দিনে কোনভাবেই তারা দলকে আর্থিক সহায়তা দিতে রাজী হন না।

milton3জনাব খোকা বিগত দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ব্যানারে কয়েকটি সংবাদ সম্বেলনে অংশ নিলেও দেশের বিদ্যমান ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার উপর হামলা,মামলা কিংবা অবরুদ্ধ বিষয়ে এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে বহু মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর পরও কোনো প্রতিবাদ সভা করেননি তিনি ।উল্টো এখান থেকে বেফাস মন্তব্য , ভাইবার কেলেংকারী ইত্যাদি ঘটিয়ে দলকে বেকায়দায় ফেলেছেন বারবার।

নিউইয়র্কে জনাব খোকার অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহচর মিল্টন ভূইয়া, যিনি জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের তথ্য উৎঘাটনকারী রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে মামলার রাজসাক্ষী। তার  মিথ্যা সাক্ষ্যের কারনেই জনাব সিজার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ৪২ মাসের সাজা ভোগ করছেন  এবং এই সাক্ষ্যের ফলে বিএনপি ও তার শীর্ষ নেতৃত্বকে এর দায়ভার বহন করে হচ্ছে। জানা যায় হাসিনা পূত্র জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারে ব্যাংক হিসাবের তথ্য ফাঁস ধাঁমাচাপা দিতেই আওয়ামী লীগের সাথে যোগসাজসে এই খোকা এবং মিল্টন জয় অপহরন প্রচেষ্টা অভিযোগ দায়েরে সহায়তা করেন।জনাব সিজার নিজেই এই প্রতিবেদকের সাথে এক সাক্ষাতকারে এই তথ্য জানান।

milton4জানা যায় সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল চিকিৎসার্থে নিউইয়র্ক আসলে তার পূর্ন দায় দ্বায়ীত্ব নেন এই খোকা ।জনাব মির্জা ফখরুল গেল সপ্তাহে ঢাকা ফিরে যাওয়া পর্যন্ত জনাব খোকার ঘনিষ্ট জন ছাড়া তেমন কাউকে তার কাছে আর ভিড়তে দেয়া হয়নি।এমনকি তিনি ফিরে যাবার দিনক্ষনও ইচ্ছাকৃত ভাবে গোপন রেখে সাধারন নেতা-কর্মীদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে বিদায় দিতে দেয়া হয়নি ।

বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলকে বিদায় জানান জনাব খোকা ,সালাম , মিল্টন ভূইয়া সহ অল্প কয়েকজন মাত্র । অবশ্য বরেন্য সাংবাদিক জনাব শফিক রেহমানও সেসময় উপস্থিত ছিলে । এসব ঘটনায় এবং তাদের বিতর্কিত কর্মকান্ডে সাধারন প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয় ইতিমধ্যেই ।  এসময়  খোকাকে মোটেই কথিত ক্যান্সারের গুরুতর রোগী  বলে মনে হয়নি এবং  স্বাভাবিক ভাবে হাটা  চলা করছিলেন ,ঠিক যেভাবে  তিনি নিউইয়র্কে চলা ফেরা করে থাকেন। । তবে  মাত্র কয়েকদিন পর লন্ডন  যাত্রা কালে জনাব খোকাকে  আবারো হুইলচেয়ারের অবলম্বন নিতে দেখা যায় ।

সম্প্রতি হাসিনার আগমনকালে জেএফকে বিমানবন্দরের সামনে প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে হঠাৎ হাজির হন এই মিল্টন ভূঁইয়া । এসময়  নেতার্মীগন তার অতিত কার্যকলাপ বিবেচনায়   বিক্ষুব্দ হয়ে তার উপর চড়াও হন  এবং দালাল দালাল বলে তাকে তিরস্কার করতে থাকেন । অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি তাড়াতাড়ি সেখান থেকে সটকে পড়েন ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই মিল্টন ভূইয়া নাকি  তার পীর সাদেক  হোসেন খোকার  সাথে তার ব্যাগ টানতে এখন লন্ডন গিয়েছেন ।  সেখানে তিনি তার পীর সাদেক হোসেন খোকার পক্ষে দূতিয়ালী করার  বিশেষ চেষ্টা করবেন বলে বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ।

অতএব সাধু সাবধান !!!!!!!!

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!