ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেষ পর্যন্ত আমাদের খবরের সত্যতাই প্রমানিত হলো । অতি সম্প্রতি আমরা বিএনপির বিতর্কিত নেতা ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিশেষ উদ্দেশ্যে লন্ডন গমন এবং একটি ভূয়া বৈঠকের ব্যাপারে খবর প্রকাশ করেছিলাম ।
আওয়ামী ঘরানার পত্রিকা 'বাংলাদেশ প্রতিদিন' এ প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়,সম্প্রতি জনাব খোকার সাথে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের ২ ঘন্টা দীর্ঘ একটি বৈঠক হয়েছে দেশনায়কের কিংস্টনের বাসায় ।
অথচ আমাদের অনুসন্ধানে আমরা জানতে পারি এধরনের কোনো বৈঠক তো দূরের কথা , খোকার সাথে এই দু নেতার কোনো সাক্ষাতই নিকট অতিতে হয়নি । এই মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ একটি খবর প্রকাশ করে এবং জনাব খোকা এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ঐ বৈঠকের খবরের সত্যতা নিয়ে চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছিলো ।
পরিতাপের বিষয় হলো আজ পর্যন্ত খোকা কিংবা বাংলাদেশ প্রতিদিন আমাদের চ্যালেন্জের জবাব দিতে পারেনি এবং ঐ মিথ্যা খবরের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেনি । অথচ কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল এই বৈঠকের খবর প্রকাশের পর তা সত্য নয় নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষনাৎ এই সংবাদটি নামিয়ে নেয় ।
জানা যায় ইতিমধ্যে কথিত পীর খোকার কোনো জারিজুড়িতে কাজ না হওয়ায় তিনি বিফল মনোরথে অতি আপন মুরিদ মিল্টন ভূঁইয়াকে নিয়ে নিউইয়র্কে ফিরে এসেছেন ।খোকার অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহচর এ মিল্টন ভূঁইয়া হচ্ছেন সেই ষঢ়যন্ত্রকার কূখ্যাত লোক, যিনি জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের তথ্য উদঘাটনকারী রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে মামলার রাজসাক্ষী এবং তার মিথ্যা সাক্ষ্যের কারনেই জনাব সিজার এখন তথ্য আইন কারাভোগ করছেন ।
এমনিতেই নিউইয়র্কে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে নিজের বিতর্কিত এবং বিএনপি বিরোধী কর্মকান্ডের কারনে জনাব খোকার অবস্থান মোটেও সুখকর ছিলোনা । তদুপরি লন্ডনে গিয়ে এতোবড় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আরও বেকাদায় পড়েছেন এই ভন্ড পীর খোকা ।
শুধু মাত্র অর্থ আর আওয়ামী যোগসাজসের কারনে তিনি এখনও টিকে আছেন বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা-কর্মীরা মনে করেন ।
তবে সেদিন আর বেশী দূরে নয় ,যেদিন এ সমস্ত বর্নচোরা অন্তর্ঘাতকদের বিতারিত করে শুদ্ধ হয়ে উঠবে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন গুলো।
আমাদের মনে রাখতে হবে ১০০ বহিঃশত্রুর চেয়ে একজন ভিতরের শত্রু অনেক অনেক বেশী ভয়ংকর ও ক্ষতিকর । তাই এদের ব্যাপারে কঠোর ও সজাগ দৃষ্টি রাখা অত্যাবশ্যক ।