ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্প্রতি দুর্বৃত্তের গুলিতে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যায় তৎপর হয়েছে উঠেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।দু বিদেশী একজন রংপুরে খুন হলেও সব তোড়জোর চলছে শুধু রাজধানী ঢাকায়।
সিএনজি, মোটরসাইকেল এবং মাইক্রোবাসে চলাকালে হঠাৎ করে পুলিশের সামনে পড়লেই গাড়ি থামিয়ে চেক করে পুলিশ।
এতে চরম বিভ্রান্তি ও অস্বস্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রত্যেককে সমস্ত শরীর সার্চ করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অফিসে যাওয়ার পথে কিংরা জরুরী একটি কাজে যারওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে আমাদের সার্চ করা হচ্ছে। এতে আমরা অসস্তিবোধ করছি এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির শিকার হচ্ছি।
২৮ সেপ্টম্বর রাজধানীর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয় ইতালিও নাগরিক সিজারে
তাভেলা। তাভেলা হত্যাকান্ডের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে খুন করা হয় জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে।
এ ঘটনার পরই তৎপর হয়ে উঠে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীতে চালানো হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিজান এবং প্রতিদিন মোটরসাইকেল নিয়ে একটি বিশেষ টিম অভিজান চালায় রাজধানীতে।
তবে ঘটনায় পর অনেক দেশ থেকেই বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশিদের উপর সতর্কতা জারি করা হয় এবং বলা হয় তাদের যদি বিশেষ কোনো কাজ থাকে তাহলে তারা পুলিশের সহায়তায় যেন বাসা থেকে বের হয়। অন্যথায় বাসা থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন নেই।
বিদেশি হত্যায় দেশের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছি এবং কে বা কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তা খতিয়ে এবং তদন্ত করে বের করা হবে। এ থেকেই শুরু হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তোড়জোড়।