ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সঙ্কট নেই, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এক বাক্যে তাই বলছেন বিদেশীরা নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারবেন।
কূটনৈতিক পাড়ায় আধা সামরিক সেনা মোতায়েনের পরও বিদেশী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পুরোপুরি আস্থা তৈরি হয়নি।
যে কারণে সরকারের অব্যাহত অনুরোধ স্বত্ত্বেও ভ্রমণ সতর্কতা প্রত্যাহার বা শিথিল করেনি পশ্চিমা এবং এশিয়ার অনেক দেশ। এ খবর জানিয়েছে ভয়েস অফ আমেরিকা।
দুইজন বিদেশী নাগরিক হত্যার পটভূমিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইতালী, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকংসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে। এই যখন অবস্থা তখন বড় ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি হতে চলেছে বাংলাদেশের ২৫০০ কোটি ডলারের গার্মেন্ট রফতানি সেক্টর।
শুরুর দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বেশ কিছু ক্রেতা বৈঠক স্থগিত হয়েছিল। এরপর একের পর এক প্রতিষ্ঠান তাদের ঢাকা সফর বাতিল করেই চলেছে।
পশ্চিমা দুই জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গ্যাপ এবং এইচএন্ডএম-এর প্রতিনিধিদের ঢাকা সফর বাতিল হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে রফতানিকারকদের মধ্যে।
এখন অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ঢাকায় বৈঠক না করে দুবাই কিংবা সিঙ্গাপুরে বৈঠক করার প্রস্তাব দিচ্ছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে ব্যবসা পরিচালনা করতে চাচ্ছে।
এই পরিস্থিতিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি মনে করেন, ক্রিসমাসের আগে এ রকম পরিস্থিতি মোটেই কাম্য ছিল না । টেসকো অবশ্য জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ সফর বাতিল করেনি। তাদের কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
মার্কস এন্ড স্পেনসার জানিয়েছে, এ মাসের গোড়ার দিকে তাদের প্রতিষ্ঠান কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছিল। এখন আবার তারা সফর শুরু করেছে।
ওদিকে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট গত শুক্রবার গাজীপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এরপরও বেশকিছু কাজ এখনও বাকি রয়ে গেছে।কিন্ত নিরাপত্তার বিষয়টি এদেশের পোশাক রফতানী শিল্পের জন্য অশুভ ফল বয়ে আনছে।