কানাডার মন্ট্রিয়ল থেকে ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গতকাল অনুষ্ঠিত কানাডার সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধ্বস জয় পেয়েছে জাস্টিন ট্রুডো’র দল ‘লিবারেল পার্টি’। এই নির্বাচনের পূর্বে লিবারেল পার্টি কানাডার সংসদে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ট দল ছিলো।
এর ফলে কনজারভেটিভ পার্টির দীর্ঘ ৯ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো । শতকরা ৬৭ভাগ ভোটারের অংশগ্রহনে এ নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ১৮৪ টি আসনে জয় পেয়েছেন বলে জানিয়েছে কানাডার জাতীয় গনমাধ্যম গুলো ।
তারা আরো জানায় চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্টিফেন হারপার জিতেছেন মাত্র ৯৯ টি আসন।
আর বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধী দল নিউডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে মাত্র ৪৪ টি আসন।এছাড়াও অর দল ব্লক কুইবেকওয়া ১০ টি আসন এবং গ্রীন পার্ট সর্বসাকুল্যে ১ আসন পেয়েছে।
কানাডায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য জাতীয় সংসদের ৩৩৮ আসনের ১৭০টিতে জিততে হয়। সে হিসেবে এককভাবেই সরকার গড়তে যাচ্ছে জাস্টিন ট্রুডো’র লিবারেল পার্টি।
তরুণ এ নেতার জন্ম ১৯৭১ সালের ২৫ ডিসেম্বর।তার প্রয়াত পিতা পিয়েরে ট্রুডো কানাডার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কারশমাটিক সাবেক প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল দলের নেতা নির্বাচিত হয়ে লিবারেল পার্টির হাল ধরেন ট্রুডো। । মাত্র দু’বছরে তারই নেতৃত্বে দল ভোটারদের মন জয় করেছে এবং সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।
সাহিত্য ও শিক্ষায় ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী জাস্টিন কর্মজীবন শুরু করেছিলেন স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে। দুই পুত্র আর এক কন্যার জনক জাস্টিনের স্ত্রী সোফিয়া। তাঁর পিতা পিয়েরে ট্রুডো ৭০ ও আশির দশকে প্রায় ১৫ বছর কানাডার সফল প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি কানাডায় বহুজাতিক অর্থাৎ মাল্টি কালচারের জনক। অভিবাসীদের নেতা হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জনগনের এক অকৃত্রিম বন্ধু ।বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মুক্তিযুদ্ধের সন্মাননাও দিয়েছে।
এই পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় জনাব জাস্টিন ট্রুডোর নিজ আসন মন্ট্রিয়ল মহানগরীর বাংলাদেশী কানাডিয়ান অধ্যুষিত পাপিনিউ(পার্ক এক্স সহ) আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। প্রবাসী বাংলাদেশী সহ সকল অভিবাসী কানাডিয়ানদের ঐকান্তিক সমর্থন এবং আনুগত্যের কারনেই লিবারেল পার্টির এই ঐতিহাসিক জয় সম্ভব হয়েছে বলে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।