ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ টাঙ্গাইল-৪(কালীহাতি)আসনের উপ-নির্বাচনে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর মনোময়োনপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনকে তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী’র দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।
আদালতে কাদের সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। সে মোতাবেক আগামী ১০ নভেম্বর এখানে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপের ঠুনকো অভিযোগে গত ১৩ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
এরপর গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার এই দুই নেতা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল আবেদন করেন। রোববার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন কাদের সিদ্দিকীর আপিল খারিজ করে রায় দেন।
২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপনির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। সে সময়ও ঋণখেলাপের অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিলো।