ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, পবিত্র আশুরার আত্মত্যাগের চেতনাকে বুকে ধারণ করেই আমাদের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। শনিবার বাংলাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘১০ মহররম মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি অত্যন্ত তাৎপর্যময় দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিল এক শোকাবহ ঘটনা। অন্যায় আর অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং বেদনার্ত করে। সত্য ও ন্যায়ের জন্য তার আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘অন্যায় অবিচার, অন্যায্য, অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। ইসলাম আমাদেরকে সে শিক্ষাই দেয়। মহানবীও (সাঃ) অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তার উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যে কোন গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কৃত অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।’
দেশের প্রধান বিরোধী জোটের নেত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অন্যায়, অবিচার, আর অনাচারের দুঃসময় বয়ে চলছে। এদেশে মানুষের সুবিচার পাওয়ার সম্ভাবনা এখন সম্পূর্ণরূপে তিরোহিত হয়ে গেছে।
ক্ষমতাসীন জবরদখলকারীরা জনগণের ওপর চালাচ্ছে সীমাহীন জুলুম, জনগণকে শ্বাসরুদ্ধ করতে তাদের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে ১০ মহররমের আত্মত্যাগের চেতনাকে বুকে ধারণ করেই আমাদের হারানো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে তিনি শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তার পরিবারের সদস্যদের এবং কারবালার সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।