ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সিতে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারী (মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) জে. সি. জনসনের সাথে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কংগ্রেশনাল দফতরে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশীক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জনাব জাহিদ এফ সরদার সাদী এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সোসাইটি এর সাবেক সাধারন সম্পাদক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন ।
ঐ সময় তাঁরা কংগ্রেসনাল হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান মাইকেল ম্যাককুলের সঙ্গেও দেখা করেন।
শুরুতেই জনাব সাদী এবং জনাব দেলোয়ার যুক্তরাষ্ট্রে বসবসরত বাংলাদশীদের পক্ষ থেকে মন্ত্রী জনসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ।
জনাব সাদী মাননীয় মন্ত্রী জনসনকে বাংলাদেশের বর্তমান ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে আমেরিকায় আসা বিএনপি সহ বিরোধীদলের নেতা কর্মীদের ব্যাপার বিশেষ সহানুভূশীল আচরনের অনুরোধ জানান এবং টেক্সাস সহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের জেলে আটক অনশনরত বাংলাদেশী রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার বিশেষ অনুরোধ করেন ।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জনসন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন বলে তাদের আশ্বাস দেন।
এর পর কংগ্রেসনাল হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান মাইকেল ম্যাককুলের সঙ্গে সাক্ষাত কালে তারা বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রতিককালের জঙ্গীদের উত্তান , এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ে এবং প্রবাসীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয়াবলী নিয়ে আলোচনা করেন এবং কংগ্রেসম্যান ম্যাককুল বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নজর রাখবেন বলে জনাব সাদী ও জনাব দেলোয়ারকে আস্বস্ত করেন ।
জানা যায়,এই সাক্ষাতের পরপরই ঐদিন রাতেই টেক্সাস ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১১ জন বাংলাদেশী আশ্রয় প্রার্থীকে মুক্তি দেয়া হয় এবং পর্যায়ক্রমে আটক সকলকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে বলে জানানো হয় ।
এই খবরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মনে আপাততঃ স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে সকলে মনে করেন ।