ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পবিত্র আশুরায় হোসেনি দালানের সামনে বোমা হামলার বিষয়ে আগে থেকেই গোয়েন্দা তথ্য ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে দারুস সালাম এলাকায় এএসআই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন শেখ মারুফ হাসান।
শেখ মারুফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও হামলা হতে পারে। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে দেখা যায়, ব্যাপক নিরাপত্তা থাকা সত্বেও হামলা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরাও ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও এ ধরনের হামলার ঘটনায় নেতিবাচক মন্তব্যের সুযোগ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘হামলার ঘটনা কীভাবে ঘটল, কেন ঘটল, ঘটনাস্থলে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, হিন্দুদের প্রতিমা বিসর্জন ও শিয়াদের তাজিয়া মিছিলে হামলার আশঙ্কায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রাতে তাজিয়া মিছিল বের না করতে অনুরোধ করার পরও তা করা হয়। তবে তাদের মিছিলে বাধা না দিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। হোসেনি দালান এলাকায় সাদা পোশাকেও পুলিশ নজরদারি করে। কিন্তু মিছিলের প্রস্তুতিকালেই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার পর আটককৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভির ফুটেজসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হামলার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব না হলে সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
গত শুক্রবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ হয়। এতে শতাধিক মানুষ আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাজ্জাদুল হক সানজু (১৮) নামের একজন মারা যান।