ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবশেষে সিদ্ধান্ত, দলীয় প্রতীকেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।
দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। অনুমানের ভিত্তিতে আগেই কাজ এগিয়ে রাখা হয়েছে।
তবে হঠাৎ এই পদ্ধতি অনুসরন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি গভীর রাজনৈতিক চাল চাললো বলে অনেক মনে করেন।তা হলো এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপির নির্বাচন না করার সংকল্পকে এক ধরনের ফাঁদে ফেলা ।উল্লেখ্য নিরপেক্ষ ও তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে বিএনপি ও ২০দলীয় জোট ৫ই জানুয়ারী'১৪ এর সাধারন নির্বাচন বর্জন করে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অঙ্গিকার করে।
অবশ্য তার পর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপি ও তার জোট অংশ নেয় কারন তা ছিলো আপাতঃ দৃষ্টিতে নির্দলীয় নির্বাচন ।আর এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার এবার সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে এবং প্রতিকে করার সিদ্ধান্ত দিয়ে পক্ষান্তরে বিএনপিকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে । এমতাবস্থায় কি করবে বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ?
আগামী ডিসেম্বর '১৫ এবং জানুয়ারী '১৬ তে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ এবং অন্যান্য স্থানী সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহনেচ্ছু বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তবে দেশের তৃনমূল পর্যায়ে দলের ভাবমূর্তি এবং প্রভাব বলয় চরমভাবে ব্যহত হতে পারে ।
আর যদি বিদ্যমান আওয়ামী লীগ সরকারের অপশাসনে অতিষ্ট দেশবাসীর সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এসব নির্বাচনে অংশ নেয় তবে অবৈধ আওয়ামী লীগ এটাকে তাদের নৈতিক বিজয় হিসাবে দেখবে এবং দেশে বিদেশে প্রচার করবে বিএনপি সহ দেশের সব দলগুলোই যখন তাদের অধীনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে ( স্থানীয় সরকার ) অংশই নিয়েছে তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আর এতো কথা কেনো ?
যাই আওয়ামী লীগের এই রাজনৈতিক কূটচাল বিভ্রান্ত না হয়ে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটকে এর বিপরীতে তাদের গেম প্লান তৈরী করতে হবে এবং দেশের মানুষকে আস্থায় এনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে হবে । তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে,এই অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কোনো নৈতিকতা কিংবা মানবতার ধার ধারে না এবং নিরাপত্তা বাহিনী ,প্রশাসন এবং ভারতের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে রয়েছে তারা ।
দেশের সিংহভাগ জনগন এদের আর চায় না এবং তারা তাদের পছন্দমতো সরকার নিয়োগ করতে চায় । বিএনপিকে অবশ্যই গনমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। দেশ জনগনের জন্য সৎভাবে কাজ করে গেলে বিএনপি অবশ্যই তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছুতে পারবে।
এসব বিষয় মাথায় রেখেই দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচনের বিধান সম্বলিত অধ্যাদেশের গেজেট জারি করেছে সরকার।
সোমবার ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা)(সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৫’ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন।
রাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় পৌরসভার অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাল থেকেই এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান সংশোধনসহ অন্যান্য কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।’