দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গতকালের দেয়া সংলাপের প্রস্তাবে চরম অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন টেমস নদীর তীর থেকে ঢিল ছোড়া হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে বসে বিক্ষিপ্ত ঢিল ছুড়ে কি সরকার পতন সম্ভব? ‘জাতীয় সংলাপ এভাবে হবে না। সংলাপ করতে হলে পরিবেশ রাখতে হবে। কারা লেখক, পুলিশ, বিদেশি হত্যা করছে? এভাবে কী সংলাপের পরিবেশ হয়? যোগ্যতা, শক্তি, সাহসের প্রমাণ দিতে হয়। সংলাপের জন্য যোগ্যতা, সাহস লাগে। সেটা তারা দেখাতে পেরেছে? তাদের সঙ্গে সংলাপ করবো, তারা কে?’- বলেন সেতুমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশের মাটিতে বসে সংলাপ হয় না। যারা সংলাপ চায়, তারা পরিবেশ রাখে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অায়োজনে ‘ডিআরইউ লেখক সদস্য সংবর্ধনায়’ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বেলা সাড়ে ১১টায় সাগর-রুনী মিলনায়তনে শুরু হয়। ২২ জন লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রত্যেকে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা পেয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘লাগামছাড়া জিহ্বা নাজুক রাজনীতির মতোই বিপজ্জনক। আমাদের কথা ও আচরণে শুভ বোধের পরিচয় দিতে হবে’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।
খালেদা জিয়ার সংলাপ প্রস্তাবকেও ‘রাবিশ’ বললেন অর্থমন্ত্রী মাল মুহিতঃ
এদিকে বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জাতীয় সংলাপের প্রস্তাবকেও ‘রাবিশ’ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
শুক্রবার সকালে সিলেটের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক সংবাদ বিবৃতিতে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এভারেস্ট একাডেমি ও যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উদ্যোগে শুক্রবার সকালে সিলেটে ‘স্কাই মিনি ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্তিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠান শেষে খালেদার সংলাপ প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী ‘রাবিশ, রাবিশ’ বলে উঠেন।
এরপর আর কোনো কথা না বলে দ্রুত গাড়িতে উঠে চলে যান মুহিত। এর আগে অনুষ্ঠানে মুহিত বলেন, ‘ম্যারাথনের উদ্দেশ্য হচ্ছে উপরে ওঠার চেষ্টা। ম্যারাথনে তরুণ প্রজন্মের ব্যাপক আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। তাদের এই আগ্রহ এ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।’ এদিকে, নয় কিলোমিটারের এই দৌঁড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শাকিল মিয়া। অর্থমন্ত্রী তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতিযোগিতায় প্রায় ৩শ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরো প্রধান রেজওয়ান আহমদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক রণজিত দাশ, দেশের প্রথম এভরেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহিম, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মিজানুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিম প্রমুখ।