ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গতকাল ১৩ই নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রায় একই সময়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরের ৬টি স্থানে বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে অন্তত ১৫৩ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আইসিস এসব হামলার দায় স্বিকার করেছে । তবে পরিপূর্ন তদন্তের আগে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না ,বলেছে ফরাসী পুলিশ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এই সন্ত্রাসী হামলার পর পুরো ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদঁ; বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সীমান্ত।
প্যারিস সিটি হলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শহরের মাঝামাঝি বাটাক্লঁ কনসার্ট হলেই অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলাকারীরা সেখানে শতাধিক মানুষকে আটক করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিম্মি সঙ্কটের রক্তাক্ত অবসান ঘটায়।
জানা গেছে এসব হামলায় অংশ নেয়া ৭জনের মধ্যে ছয় জনই আত্মঘাতী বোমায় এবং অপরজন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অন্য হামলাগুলো হয়েছে স্টেডি ডি ফ্রান্স এবং কয়েকটি বার ও রেস্তোরাঁয়। এর মধ্যে স্টেডিয়ামের কাছের ঘটনাটি আত্মঘাতি বোমা হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওই স্টেডিয়ামে তখন জার্মানি বনাম ফ্রান্স ফুটবল ম্যাচ চলছিল, খেলা দেখতে গিয়েছিলেন খোদ প্রেসিডেন্ট। ওলাদঁ এ ঘটনাকে বর্ণনা করেছেন ‘নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে।
প্যারিসের বাসিন্দাদের যার যার বাড়িতে অবস্থান করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহরে ইতিমধ্যে ১৫০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই হামলার নিন্দা জানিয়ে হোতাদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্সের পাশে থাকার কথা বলেছে ন্যাটো।
ফ্রান্সকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত আছে জানিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, “নিরপরাধ বেসামরিক জনগণকে সন্ত্রস্ত করার আরেকটি ভয়ঙ্কর চেষ্টা আমরা দেখলাম।”
কানাডার নবনির্বাচিত প্রধনমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, কানাডা এই দুঃসময়ে ফ্রান্সের জনগনের পাশে রয়েছে।
প্যারিসে হামলার এই ভয়াবহতায় ক্ষুব্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এক টুইটে বলেছেন, “আমরা ফ্রান্সের মানুষের পাশে আছি। তাদের সাহায্যে যতটা সম্ভব, আমরা তা করব।”