ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার নিউইয়র্কে সদ্য প্রয়াত বন্ধুর জানাজা নামাজে যোগ দিতে এসে বাংলাদেশি কমিউনিটির তোপের মুখে পড়লেন কুখ্যাত ১/১১ এর হোতা এবং ঐসময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ।
এসময় গালাগালি করতে করতে বেশ কয়েকজন মুসল্লি ফখরুদ্দিনের দিকে তেড়েও আসেন ।
শুক্রবার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে জুম্মার নামাজ শেষে ঘনিষ্ট বন্ধু আবদুল মুনিম চৌধুরীর জানাজার নামাজ পূর্বে বক্তব্য দান কালে এঘটনা ঘটে ।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে প্রতি শ্রক্রবার দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয় । ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ তাঁর বন্ধু আবদুল মুনিম চৌধুরীর জানাজায় যোগ দিতে একাই মসজিদে আসেন । পরে জুম্মার প্রথম জামাত শেষে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আক্তার হোসেন ঘোষণা দেন এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ও আবদুল মুনিম খানের বন্ধু ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ।
তার নাম ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গেই মসজিদ জুড়ে কানাঘোষা শুরু হয়।কয়েকজন মুছল্লি প্রাকাশ্যেই তার বক্তব্যে বাধা দিয়ে কথা বলতে থাকেন ।
এই হট্টগোলে বেগতক দেখে তরিঘরি করে বক্তব্য শেষ করেন ফখরুদ্দিন । পরে মসজিদ কমিটির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে ইমাম শমসে জানাজা নামাজের ইমামতি করেন । এরপর জানাজা নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হতেই গালাগালি দিয়ে তেড়ে আসেন কয়েকজন বাংলাদেশি মুসল্লি । তারা বলতে থাকেন বাংলাদেশকে ৫০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে এই ফখরুদ্দিন। তাঁর দোয়া চাওয়ার কোনো অধিকার নেই । এসময় তারা ফখরুদ্দিন কে গাদ্দার বলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ।
এসময় মসজিদে উপস্থিত মুসল্লীরা বলেন, কুখ্যাত ১/১১ এর হোতা ফখরুদ্দিন ও মঈনউদ্দিন গং এর উপর প্রবাসীদের ব্যপক ক্ষোভ রয়েছে । এমতাবস্থায় তাদের জনসম্মুখে এভাবে আসাটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি ।
এঘটনায় তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশ আমেরিকান এ্যাডভোকেসি গ্রুপের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কামাল ভূইয়া বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর কমবেশি ভূল থাকতেই পারে । কিন্তু এই অযুহাতে কেউ মসজিদে আসলে তাকে গালাগালি করাটা অশোভন কাজ বলে মনে করি ।
উল্লেখ্য ২০০৯ সাল থেকে ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে বসবাস করলেও এই প্রথম জনসন্মুখে আসলেন । বিশেষ করে প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কে এই প্রথম তাকে দেখা গেল ।
মসজিদ থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন । স্যার দেশ কেমন আছে ? জবাব না দিয়েই দ্রুত মসজিদ এলাকা ত্যাগ করেন ড. ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ।