ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেষ পর্যন্ত তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোঃ মুজাহিদের ফাঁসি দিতে হাসিনা সরকার বদ্ধপরিকর।
এ উপলক্ষ্যে ডাকা হয়েছে জল্লাদ শাজাহান ও জল্লাদ রাজুকে। যুদ্ধাপরাধের মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর করতে তাদেরকে ডাকা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জল্লাদ শাজাহান ও রাজু অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, সুঠাম দেহ ও অধিক মনোবলের কারণে জল্লাদের তালিকা থেকে তাদেরকে কারা কর্তৃপক্ষ ডেকেছেন বলে জানা গেছে।
এই দুইজনের পাশাপাশি সাত্তার নামে আরো একজন জল্লাদকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে কেন্দ্রীয় কারাগারে। গত ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রথম যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে জল্লাদের ভূমিকা পালন করেন শাজাহান।
অপরদিকে ২০১৪ সালের ১২ এপ্রিল কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় জল্লাদের ভূমিকায় ছিলেন রাজু।
জল্লাদ শাজাহান ১৪৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদী। তিনি ৩৬ বছর ধরে কারাবাস করছেন। কারাগার থেকে দ্রুত মুক্তিলাভের জন্যই তিনি জল্লাদের খাতায় নাম লিখিয়েছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
এর আগে এরশাদ শিকদার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের ৫আসামি ও কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
আর জল্লাদ রাজু প্রায় ১৫ বছর ধরে কারাবাস করছেন। ইতোমধ্যে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর ফাঁসির জন্য মঞ্চের অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।