ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ দমনে ইতোমধ্যে একটি হেল্প লাইন চালু করা হয়েছে। এছাড়া নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আরও একটি হেল্প লাইন চালু আছে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের হেল্প লাইন হচ্ছে ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮ এবং অন্যটি ১০৯২১। এ নম্বর দু’টি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব কার্যপ্রণালীতে বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির (নারী আসন-৩০) উত্থাপনকালে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবের ওপর সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ছিল, ইন্টারনেট অপরাধী সনাক্তকরণে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের হেল্প লাইনে এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২৬১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। যার ৮০ শতাংশই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি, বক্তব্য বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে হয়রানির। কাউকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একইভাবে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হেল্প লাইনে ১ লাখের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অবশ্য এসব অভিযোগে সরকার বিরোধী প্রচারনায় অন্তর্ভুক্ত কিনা তা তিনি বলেননি।
পলক বলেন, বর্তমানে বিশ্বে ২০ সেকেন্ডে একটি করে নতুন সাইবার অপরাধ ঘটছে। তাই সাইবার সন্ত্রাস খাটো করে দেখবার সুযোগ নেই। এ জন্য দু’টি পন্থা অবলম্বন করতে হবে। এর একটি হচ্ছে দেশবাসীকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে ডিজিট্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ফেসবুকে প্রতি মিনিটে ১২টি নতুন আইডি খোলা হচ্ছে। সাইবারে ভালো কাজের পরিবর্তে খারাপ কাজ বেশি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম ফেসবুকে এমনভাবে ঢুকে পড়েছে যে পাঠ্য বই পড়তেই ভুলে গেছে। তরুণ প্রজন্মকে এ অপরাধ সচেতন হওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
আগামী সংসদে অধিবেশনেই বিলটি উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এসব ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের ছেলেরাই, সাইবার বিশেষজ্ঞরা সেটি সনাক্ত করতে পেরেছে। যদিও সব অপরাধী ধরতে পারেনি, তবে কোথায় কোন কম্পিউটার থেকে অপরাধটি করা হয়েছে তা আমাদের ছেলেরাই সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।