ক্যাপ্টেন(অবঃ) মারুফ রাজুঃ স্বাধীনতাবিরোধী যে কোনো চক্রান্ত মোকাবেলায় স্বশস্ত্র বাহনীকে সজগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি। তবে স্বশস্ত্র বাহিনী দিবসের এই অনুষ্ঠানে সেনা প্রধান জেনারেল বেলাল উপস্থিত ছিলেন না।
এসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার কথাও জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হবে। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতার পরিমাণ ৯০০ টাকা থেকে চার দফা বাড়িয়ে বর্তমান ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ভাতা ভোগীর সংখ্যা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে দুই লাখ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০১৩ এর জুলাই থেকে বীরশ্রেষ্ঠদের জন্য ১২ হাজার টাকা, বীর উত্তমদের জন্য ১০ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের জন্য ৮ হাজার টাকা এবং বীর প্রতীকদের জন্য ৬ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের মাসিক রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন ৯ হাজার ৭০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা প্রাপ্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে স্বল্পমূল্যে রেশন সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং উত্তরাধিকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতার আওতায় আনার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা রিবোধীদের চক্রান্ত রুখে দেয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাসহ দেশের সকল নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে যার যার অবস্থান থেকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে নিয়ে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছি সেই মুহুর্তেই একটি চিহ্নিত মহল দেশকে পিছিয়ে দিয়ে সকল অর্জন ধ্বংস করায় লিপ্ত রয়েছে।
এর আগে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনা বাহিনীর সিজিএস , নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকাররা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।