DMCA.com Protection Status
title="৭

‘পাকিস্তানের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করুন’, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ইমরান এইচ সরকার

gonojagoক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করে পাকিস্তান যে বিবৃতি দিয়েছে তা প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকসহ সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।

যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে সোমবার শাহবাগে অবস্থান নেয় গণজাগরণ মঞ্চ। এই কর্মসূচীতে মঞ্চের নেতারা সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।

যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদন্ডের পর পাকিস্তানের আপত্তিকর বিবৃতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, সন্তুষ্টিজনক জবাব দেয়া না হলে মঞ্চের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানের দূতাবাস ঘেরাও করে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।

এ সময় চলমান সংসদ অধিবেশনে পাকিস্তানের বিবৃতির বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার আহ্বান জানান তিনি। যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের ও আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চের বিজয় র‌্যালির পূর্বে জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে অবস্থানের ঘোষণা দেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

বেলা সাড়ে এগারোটায় শাহবাগ থেকে হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরও উদ্বেগ জানিয়েছিল পাকিস্তান।

‘পাকিস্তানের প্রতি অনুগত এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় দেশটির সেনাবাহিনীকে সমর্থন করায়’ কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে দাবি করে তখন পাকিস্তানের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। তা নিয়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন মহলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে ওই প্রস্তাব গ্রহণের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।

এর প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে একাধিক দিন গুলশানে পাকিস্তানের হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হয়। তখন পুলিশের লাঠিপেটায় ইমরানসহ আহত হয়েছিলেন অনেকে।

২৫ বছরের শোষণ-বঞ্চনার পর বাঙালীদের স্বাধিকারের দাবিকে দমন করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নির্বিচার হত্যাকান্ড শুরু করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। তখন প্রতিরোধ যুদ্ধে নামে বাঙালীরা। নয় মাসের রক্তাক্ত সংগ্রামের পর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!