ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রতীয় সব টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে নেপালের ক্যাবল টিভি অপারেটররা ।
ভারতের ‘অনানুষ্ঠানিক’ অবরোধের প্রতিবাদে এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতের ওই ‘অনা নুষ্ঠানিক’ অবরোধের কারণে সীমান্ত দিয়ে কোনো পণ্য নেপালে প্রবেশ করছে না। এর ফলে জ্বালানি তেল, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যসামগ্রীর চরম সংকটে পড়েছে দেশটি ।
ভারতের সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নেপালের সংখ্যালঘু মাধেশি সম্প্রদায়ের সংগঠন জয়েন্ট মাধেশি ফ্রন্টের আন্দোলনের মুখে ভারত-নেপাল সীমান্তে স্থবির হয়ে আছে পণ্যবাহী বহু ট্রাক। নতুন সংবিধানকে বৈষম্যমূলক বলে দাবি করে আন্দোলন করছে মাধেশি সম্প্রদায়ের মানুষ।
সংবাদমাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস জানিয়েছে, আজ রোববার নেপালে সব ধরনের ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে নেপালের ক্যাবল অপারেটররা। এর আগেও গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ রেখেছিল ক্যাবল অপারেটররা।
সীমান্তে এ অবরোধের কারণে জ্বালানি বিশেষ করে রান্না করার গ্যাস সংকটে ভুগছে নেপাল। এ ছাড়া ওষুধসহ জরুরি পণ্য সংকটে পড়ে গেছে দেশটি।
এরই মধ্যে নেপালের স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে মাধেশি সম্প্রদায়ের মানুষ নেপালের তেরাই এলাকায় বীরগঞ্জে নেপাল-ভারত সীমান্ত অবরোধ করে রাখে।
এ পথেই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয়। গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাস হওয়া নেপালের নতুন সংবিধানের বিরোধিতা করছে মাধেশি সম্প্রদায়ের লোকজন। ভারত সরকারও ওই সংবিধান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
নেপালে ‘ভারতবিরোধী’ মনোভাব বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নেপালে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় বলেন, ‘এটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে, রাজনৈতিক ভাবে বা অন্যভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
রঞ্জিত রায় আরো বলেন, ‘ভারতবিরোধী মনোভাব বেড়ে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ধরনের মনোভাব ভারত ও নেপাল উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।’