ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তের পর মনোনয়নপত্রে দলীয় সভানেত্রী স্বাক্ষর করেছেন। রাত থেকেই মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে চিঠি দেয়া শুরু হয়েছে।
একইভাবে বিএনপিও দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে। গতকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন সংক্রান্ত চিঠি হস্তান্তর শুরু হয়েছে। বিকালে দলীয় চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে কয়েকজন প্রার্থীর কাছে চিঠি হস্তান্তর করেন যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। এছাড়া, মনোনীতদের চিঠি গতকাল থেকেই তৃণমূলে পাঠানো শুরু হয়েছে। আজ এবং আগামীকালের মধ্যে সব চিঠি পৌঁছে যাবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক করে। এ বৈঠকে ২৩৫ জনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয় বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রাতে দলীয় সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনীত প্রার্থীদের চিঠি হস্তান্তর শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেলেন যারাঃ
রংপুরের বদরগঞ্জে-উত্তম কুমার সাহা, লালমনিরহাট সদর-রিয়াজুল ইসলাম রিন্টু, কুড়িগ্রামের উলিপুর-আবদুল আলীম সরকার, দিনাজপুর সদর- আনারুল ইসলাম, হাকিমপুর-জামিল হোসেন চলন্ত, বীরগঞ্জ-মোশাররফ হোসেন বাবুল, বিরামপুর-আক্কাস আলী, ফুলবাড়ি-শাহজাহান আলী সরকার পুতু, নীলফামারির সৈয়দপুর-প্রফেসর সাখাওয়াত হোসেন, রাজবাড়ির গোয়ালন্দ-নজরুল ইসলাম, পাংশা-আবদুল্লাহ আল মামুন, যশোরের চৌগাছা-হিমেল, লক্ষীপুরের রামগঞ্জ-আবুল খায়ের পাটোয়ারি, রায়পুর-মোহাম্মদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ (তারাবো) হাসিনা গাজী, ঢাকা ধামরাই-গোলাম কবির, সাভার-আবদুল গনি, নড়াইল সদর-জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, কালিয়া-ওহিদুজ্জামান হীরা, চাঁদপুরের কচুয়া-নাজমুল আলম স্বপন, পাবনা সদর-রাকিব হাসান টিপু, সুজানগর-আবদুল ওয়াহাব, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ-এডভোকেট মনিরুল হক তালুকদার, ময়মনসিংহের গফরগাঁও-ইকবাল হোসেন সুমন, পটুয়াখালীর কলাপাড়া-বিপুল হাওলাদার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া-শেখ আহমেদ হোসেন মির্জা, পাবনার চাটমোহর-সাখাওয়াত হোসেন সাখো, নেত্রকোনার কেন্দুয়া-আসাদুল হক ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জের ছাতক-আবুল কালাম চৌধুরী, জগন্নাথপুর-মিজানুর রহমান, দিরাই-মোশাররফ মিয়া, সিলেটের জকিগঞ্জ-খলিল উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ-সৈয়দ মেজবাহউদ্দিন, কানাইঘাট-লুৎফর রহমান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা-আবু ইমাম, কুলাউড়া-শাহী আলম ইউনুস, শেরপুর সদর-গোলাম মো. কিবরিয়া, নকলা-হাফিজুর রহমান লিটন, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী-শুক্কুর আলী, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর-আবু নঈম মো. বাশার, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট-সাইফুল ইসলাম, নবীগঞ্জ-অধ্যাপক তফাজ্জল ইসলাম, নীলফামারীর জলঢাকায় বাহাদুর, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম শমসের, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী মোহাম্মদ হোসেন ফারুক, নরসিংদী সদর-কামরুজ্জামান কামরুল, মুন্সিগঞ্জ সদর-ফয়সল আহমেদ বিপ্লব, মাদারীপুর সদর-খালিদ হাসান ইয়াদ, শেরপুরের নালিতাবাড়ি-আবু বকর সিদ্দিক, টাঙ্গাইলের গোপালপুর-রফিকুল হক সানা, মধুপুর-মাসুদ পারভেজ, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা-বিল্লাল হোসেন সরদার, সিরাজগঞ্জ সদর-মুক্তা সিরাজী, পাবনার ঈশ্বরদী-আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, মেহেরপুরের গাংনী-আহমেদ আলী, কুষ্টিয়া সদর-আনোয়ার আলী, সাতক্ষীরা সদর রফিকুল ইসলাম, যশোর সদর-রেন্টু চাকলাদার, সুনামগঞ্জ সদর-আইয়ুব বখত জগলুল, মৌলভীবাজার সদর-ফজলুর রহমান, পঞ্চগড় সদর-জাকিয়া আখতার, ঠাকুরগাঁও সদর-তাহমিনা মোল্লা, কুড়িগ্রাম সদর-কাজিউল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম-শহিদুল ইসলাম শাহীন, টাঙ্গাইল সদর-জামিলুর রহমান মিরন, ভুঞাপুর-মাসুদুর রহমান মাসুদ, গোপালগঞ্জ সদর মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের রাউজান-দেবাশীষ পালিত, পটিয়া-হারুনুর রশিদ, চন্দনাইশ-মাহবুব আলম খোকা, কুমিল্লার লাকসাম-রফিকুল আলম হীরা, ফেনী সদর-আলাউদ্দিন আহমেদ, বগুড়ার আদমদিঘী-রাশেদুল ইসলাম রাজা, বাগেরহাট সদর-হাবিবুর রহমান, বরিশালের বাকেরগঞ্জ-লোকমান হোসেন, উজিরপুর-হারিছ, ভোলা সদর-মনিরুজ্জামান মনির, টাঙ্গাইলের কালিহাতি-আনসার আলী, মিজাপুরে শাহাদাত হোসেন সুমন, নাটোর সদর-সাজিদুর রহমান খান, নীলফামারি সদর-আকতার হোসেন খোকন, মেহেরপুরের গাংনী-আহমেদ আলী, ফেনীর দাগনভুঞা-ওমর ফারুক খান, খাগড়াছড়ি সদর- মোহাম্মদ শানে আলম, লহ্মীপুরে রামগতি-মেজবাহ উদ্দিন।
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারাঃ
পঞ্চগড় সদরে তৌহিদুল ইসলাম; ঠাকুরগাঁও : সদরে মির্জা ফয়সাল আমিন, পীরগঞ্জে রাজিউর রহমান রাজু, রাণীশংকৈলে শাহজাহান আলী; দিনাজপুর : সদরে জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়িতে সাইদুল ইসলাম, বীরগঞ্জে আমিনুল বাহার, বিরামপুরে আশরাফ আলী মন্ডল, হাকিমপুরে শওকত হোসেন শিল্পী; নীলফামারী: সৈয়দপুরে আমজাদ হোসেন সরকার, জলঢাকায় ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, লালমনিরহাট: সদরে আবদুল হালিম, পাটগ্রামে একে মোস্তফা হালিমুজ্জামান; রংপুর: বদরগঞ্জে পরিতোষ চক্রবর্তী; কুড়িগ্রাম: নাগেশ্বরীতে আদম আলী, উলিপুরে তারিক আবুল আলা চৌধুরী; গাইবান্ধা : সদরে শহীদুজ্জামান শহীদ, গোবিন্দগঞ্জে ফারুক আহমেদ, সুন্দরগঞ্জে মশিউর রহমান সবুজ; কুড়িগ্রাম: সদর নুরুল ইসলাম; বগুড়া : সদরে অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, শেরপুরে স্বাধীন কুডু, সারিয়াকান্দিতে টিপু সুলতান, গাবতলীতে সাইফুল ইসলাম, আদমদিঘীতে তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু, কাহালুতে আবদুল মান্নান ভাটা, ধুনটে আলিমুদ্দিন, নন্দীগ্রামে সুশান্ত কুমার শান্ত, শিবগঞ্জে আবদুল মতিন, জয়পুরহাট: সদরে সামসুল হক, কালাইয়ে সোহেল তালুকদার; চাঁপাইনবাবগঞ্জ: শিবগঞ্জে শফিকুল ইসলাম, নাচোল মো. কামরুজ্জামান, নওগাঁ: সদরে নাজমুল হক সনি, নজিপুরে আনোয়ার হোসেন; রাজশাহী: কাকনহাটে হাফিজুর রহমান, আড়ানিতে তোজাম্মেল হক, মুন্ডমালায় ফিরোজ কবির, কেশরহাটে আলাউদ্দিন আলো, গোদাগাড়ীতে আনোয়ারুল চৌধুরী, তাহেরপুরে আবু নাঈম মোহাম্মদ শাসমুর রহমান মিন্টু, ভবানীগঞ্জে আবদুর রহমান প্রামানিক, তানোরে মিজানুর রহমান মিজান, কাটাখালীতে মাসুদ রানা, চারঘাটে জাকিরুল ইসলাম বিকুল, দুর্গাপুরে সাইদুর রহমান মন্টু, পুটিয়ায় বাবুল হোসেন লাল্টু, নৌহাটায় মকবুল হোসেন; নাটোর: সদরে ইমদাদুল হক মামুন, গুরুদাসপুরে মশিউর রহমান বাবলু, সিংড়ায় শামীম আল রাজী, বড়াইগ্রামে ইসহাক আলী; সিরাজগঞ্জ: শাহজাদপুরে নজরুল ইসলাম, সদরে মোকাদ্দেস আলী, উল্লাপাড়ায় বেলাল হোসেন, রায়গঞ্জে নুর সাঈদ সরকার, বেলকুচিতে আবদুর রাজ্জাক মন্ডল, কাজীপুরে মাসুদ রায়হান মুকুল; পাবনা: চাটমোহরে আবদুর রহিম কালু, সাথিয়ায় সিরাজুল ইসলাম, সুজানগরে আজমল আলী বিশ্বাস, ফরিদপুরে এনামুল হক, ভাঙ্গুড়ায় মুজিবুর রহমান, সদরে নুর মোহাম্মদ মাসুম, ইশ্বরদীতে মোকলেসুর রহমান; মেহেরপুর: গাংনীতে ইনসারুল হক; কুষ্টিয়া: সদরে কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মিরপুরে আবদুল আজিজ খান, কুমারখালীতে তরিকুল ইসলাম, খোকসায় রাজু আহমেদ ও ভেড়ামারায় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) নেতা মহিউদ্দিনকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা: দর্শনায় মহিদুল ইসলাম, জীবননগরে নওয়াব আলী, আলমডাঙ্গায় মীর মহিউদ্দিন, সদরে খন্দকার আবদুল জব্বার; ঝিনাইদহ: কোটচাদপুরে একেএম সালেহ উদ্দিন বুলবুল, মহেশপুরে নাজিবুদ্দৌলা, হরিনাকুন্ডে মো. জিন্নাতুল হক, শৈলকুপায় খলীলুর রহমান; যশোর: নোয়াপাড়ায় রবিউল হোসেন, মনিরামপুরে শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, বাঘারপাড়ায় আবদুল হাই মোনা, চৌগাছায় সেলিম রেজা আউলিয়া, কেশবপুরে সামাদ বিশ্বাস, সদরে মারুফুল ইসলাম; মাগুরা: সদরে ইকবাল আকতার খান; নড়াইল: কালিয়ায় এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, সদরে জুলফিকার আলী; খুলনা: চালনায় শেখ আবদুল মান্নান; সাতক্ষীরা: কলারোয়ায় আকতারুল ইসলাম, সদরে তাসকির আহমেদ; বরগুনা: বেতাগীতে হুমায়ুন কবির, পাথরঘাটায় মল্লিক মো. আইয়ুব; পটুয়াখালী: কুয়াকাটায় আবদুল আজিজ মুসল্লী; ভোলা: বোরহান উদ্দিনে মনিরুজ্জামান, দৌলতখানে আনোয়ার হোসেন , সদরে হারুনুর রশীদ; বরিশাল: মেহেন্দিগঞ্জে গিয়াসউদ্দিন দীপেন, বাকেরগঞ্জে মতিউর রহমান মোল্লা, উজিরপুরে শহীদুল ইসলাম; ঝালকাঠি: নলছিটিতে মুজিবুর রহমান; পিরোজপুর: স্বরূপকাঠিতে শফিকুল ইসলাম ফরিদ; সুনামগঞ্জ: ছাতকে সামসুর রহমান মাসুক, সদরে অধ্যক্ষ সেরিগুন, ধিরাইয়ে মাইনুদ্দিন চৌধুরী; হবিগঞ্জ: নবীগঞ্জে সাবেরুল হক; কুমিল্লা: দাউদকান্দিতে টিএমআই খলিল, চৌদ্দগ্রামে নয়ন বাঙ্গালি; চাঁদপুর: হাজীগঞ্জে আবদুল মান্নান খান; চট্টগ্রাম : সন্দ্বীপে আজমত আলী বাহাদুর, বাঁশখালীতে কামরুল ইসলাম হোসাইনী, সাতকানিয়ায় রফিকুল আলম, মীরসরাইয়ে রফিকুল ইসলাম পারভেজ, রাউজানে আবদুল্লাহ আল হাসান, বারইয়ারহাটে মাইনুদ্দিন লিটন, রাঙ্গুনিয়ায় হেলাল উদ্দিন, সীতাকুন্ডে আবুল মনসুর ও পটিয়ায় তহিদুল আলম। এছাড়া চন্দনাইশে এলডিপির প্রার্থীর জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি : সদরে আবদুল মালেক ও মাটিরাঙ্গায় বাদশা মিয়া; বান্দরবান : সদরে জাবেদ রাজা ও লামায় আমির হোসেন; রাঙামাটি : সদরে সাইফুল ইসলাম ভুট্টো।
প্রার্থী চূড়ান্ত, মনোনীতদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি আসন্ন পৌর নির্বাচনে দলের মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনীতদের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। গতকাল সন্ধ্যায় ৭টার পর দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে পর্যায়ক্রমে এ চিঠি দেয়া হয়। প্রথমে মনোনয়ন পান রাজশাহী বিভাগের অধীন পৌরসভা প্রার্থীরা। তবে ২৩৬টি পৌরসভার মধ্যে সবগুলোতে সমর্থন চূড়ান্ত করতে পারেনি দলটি। যাদের নাম চূড়ান্ত হয়েছে তারা ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত পেয়ে গেছেন। তারা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার জন্য প্রত্যয়নপত্র ছাড়া অন্যান্য প্রস্তুতি সম্পন্নও করেছেন। এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্তের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তৃণমূলে যাচ্ছে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ বার্তা। ওদিকে বিএনপির নির্বাচন সমন্বয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মনোনীতদের পাশাপাশি সব পৌরসভায় বিকল্প প্রার্থী রাখা হবে। যাতে দল মনোনীত কোন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে বিকল্প প্রার্থী দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। বিকল্প প্রার্থীদের কোন চিঠি দেয়া হবে না তারা মাঠে থাকবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রের তরফে তাদের ব্যাপারে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হবে।
চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা মাঠে থাকবো: শাহজাহান
এদিকে মনোনয়নপ্রাপ্তদের হাতে চিঠি তুলে দেয়ার আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মনোনয়ন প্রত্যয়নকারী মোহাম্মদ শাহজাহান এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, অনেক কথা থাকা সত্ত্বেও আমরা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল তাই পৌর নির্বাচনকে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। এই চ্যালেঞ্জ শুধু দলের জন্য নয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ, মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাবার চ্যালেঞ্জ, ভোটকেন্দ্রে অবাধে ভোটাধিকারের পরিবেশ তৈরি করার চ্যালেঞ্জ। শাহজাহান বলেন, স্পষ্টভাষায় বলতে চাই- আমরা কোন শর্ত দিয়ে নির্বাচনে যাইনি। আমরা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভোটে অংশ নিচ্ছি। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা মাঠে থাকবো। তিনি বলেন, আমি আশা করি- নির্বাচন কমিশন ও সরকার আমাদের মাঠে থাকার যে ইচ্ছা তা শেষ পর্যন্ত, দয়া করে আমাদেরকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেবেন না। আমরা নির্বাচনের মাঠে থেকে জনগণ কী চায়, তা যেন আমরা যাচাই করতে পারি। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যয়নকারী বলেন, আমাদের নেতা-কর্মী ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গিয়ে যেন হয়রানির মুখে না পড়ে। নেতা-কর্মী যারা আটক রয়েছেন, তাদের জামিনের ব্যবস্থা করবেন। গণগ্রেপ্তার বন্ধ করবেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, যারা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে আছেন, তাদের কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছি তা আমার পাশে বসা জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) থেকেই আপনারা বুঝতে পারছেন। আমরা শুধু জোটের নয়, প্রয়োজনে সমাজের দায়িত্বশীল ভালো লোক যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শরিক হতে চান প্রয়োজনে তাদেরকেও মনোনয়ন দেবো। কারণ, বিএনপির মন ছোট নয়। বিএনপি সারা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবে। জোটের শরিকদের কতটি আসন ছেড়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আমরা সংখ্যা বলতে চাই না। এই নির্বাচনে বিএনপি তার শরিকদের নিয়েই অংশ নেবে। শরিকরা কেউ চাইলে তাদের বিমুখ করবো না। প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, এটা জানতে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব রাজনীতি আছে। তাদের কী কৌশল হবে, কী প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচনে অংশ নেবে, সেটা তাদের ভাবতে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি। সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাপা (কাজী জাফর) সভাপতিম-লীর সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করীম শাহিন, সাবেক এমপি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে দলের মনোনীত কিছু মেয়র প্রার্থীর হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মনোনয়ন প্রত্যয়নকারী মোহাম্মদ শাহজাহান। তারা হলেন- রাজশাহীর কাটাখালীর মাসুদ রানা, নওহাটায় শেখ মকবুল হোসেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহিউদ্দিন বাড়া। এদিকে দলের মনোনয়নপত্র বিতরণকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকাল থেকেই গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ের সামনে প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাশী ও তাদের সমর্থকরা ভিড় করেন।