ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতে মুসলিম হওয়ার চেয়ে গরু হওয়া নিরাপদ– বাংলাদেশের কিছু বন্ধুর বরাত দিয়ে ভারতের লোকসভায় এ কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।
ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার লোকসভার অধিবেশনে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে এক বিতর্কে অংশ নিয়ে শশী থারুর বলেন, ততক্ষণ সরকার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারবে না যতক্ষণ ‘হেট ইন ইন্ডিয়া’ থাকবে।
ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির নীরবতাকে লক্ষ্য করে এসব কথা বলেন শশী থারুর। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে যখন বিদেশি সংবাদপত্রগুলোতে ভারতের অসহিষ্ণুতা নিয়ে খবর প্রকাশ হতে দেখি, তখন আমরা লজ্জার মধ্যে পড়ে যাই। বাংলাদেশে থাকা আমার বন্ধু বলছে যে, ভারতে মুসলমান হওয়ার চাইতে গরু হওয়া নিরাপদ।’
ইন্ডিয়া টুডে তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, পাটনায় লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির নির্বাচনী জনসভায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করেন শশী থারুর।
কিন্তু এর পরেই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এর আগে বিহারের গান্ধী ময়দানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জনগণকে শান্ত রাখতে যিনি এত সুন্দর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছিলেন, সেই মোদির এখন কী হয়েছে? আমি সেটাই জানতে চাই।’
যেখানে ভারতে ক্রমাগত অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এবং সংখ্যালঘুদের জীবনের নিরাপত্তা কমছে সেখানে ভারত কীভাবে বহির্বিশ্বের কাছে বহুত্ববাদ, সহনশীলতা এবং গান্ধীবাদের দেশ হিসেবে কীভাবে সরকার ভারতকে উপস্থাপন করবে সেই প্রশ্নও রাখেন শশী।
আর এই পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁর বাংলাদেশি বন্ধুর করা উক্তিটি উচ্চারণ করেন তিনি। তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের মোদি আর বর্তমান মোদির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কেরালা হাউসে গরুর মাংসের খোঁজে যখন অভিযান চালানো হয়, ঠিক সে সময় দিল্লিতে উপস্থিত ছিলেন আফ্রিকার ৫০টি দেশের প্রধানরা। এবং তাঁরা সবাই গরুর মাংস খান।
এটা জানিয়ে শশী থারুর প্রশ্ন রাখেন, তাহলে ভারত সম্পর্কে তাঁরা কী ধারণা পাবেন?