ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
অথচ প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতিকে মেয়র নির্বাচনের বিধান করায় এবার ব্যপক গোলযোগের আশংখায় বিরোধী সহ বিভিন্ন মহল পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবী করে আসছিলো।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি।
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সিইসি। তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পৌর এলাকাগুলোর পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন বিভিন্ন পৌর এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী রাখার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। র্যাব -বিজিবি ও পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি ভালো।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনাররা, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাব, বিজিবি, আনসার-ভিডিপি, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, পৌর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ভেদে ১৯ থেকে ২০ জন ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে তিন হাজার ৫৮৫টি। কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, এপিবিএন মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ভোটার এলাকায় ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড- স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সবমিলিয়ে ৭০ হাজারের বেশি ফোর্স থাকছে এ নির্বাচনে।
সর্বশেষ ২০১১ সালের অষ্টম পৌরসভা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিলো। এবার সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হবে কি-না, তা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৪ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মেয়র পদে ৯২৩ জন ও কাউন্সিলর পদে ১১ হাজার ১২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রায় ৭২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।