ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি তার এ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আগামী ২৬ মার্চ তাকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহামুদ।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, “পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণসহ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যাচ্ছেন। আর সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা প্রচারণা চালাতে পারবেন না। আসলে নির্বাচন কমিশন এমন অদ্ভুত আচরণবিধি কিভাবে তৈরি করলেন এটা গবেষণার বিষয়।”
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদার বিরূপ মন্তব্য: স্তম্ভিত দেশবাসী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “তারা এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাজই হলো- প্রতিদিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ দেয়া। গতকালও তারা বিদেশিদের কাছে নাশিল করেছে।” মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া শহীদদেরই অবমাননা করেছেন বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “তার (খালেদা জিয়া) কাছে আওয়ামী লীগ নয়, জামায়াত ইসলামীই মুক্তিযুদ্ধের দল। তিনি যদি এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করেন, তবে আগামী ২৬ মার্চে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন না। যদি শ্রদ্ধা জানাতে যান, তখন জনগণ প্রতিরোধ গড়েই তুলতে পারে।”
একই আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে- ত্রিশ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ, সাথে সাথে ট্রাইব্যুনালে বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে কোন বিতর্ক সৃষ্টি করা যাবে না। সাংবাদিক বার্গম্যানের দণ্ডের রায়েও তা লেখা আছে। তাহলে এমন বক্তব্য খালেদা জিয়া কিভাবে দিলেন?”
কামরুল ইসলাম বলেন, “সংবিধান ও ট্রাইব্যুনাল অবমাননা দায়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাকে (খালেদা জিয়া) বিচারের আওতায় আনা যায়। খালেদা জিয়াকে বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান করছি। তা না হলে খালেদার বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়ছে।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের এ টি এম শামসুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, এম এ করিম, হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।