ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্প্রতি যে মন্তব্য করেছেন তার অশালীন ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুধু তাই নয় মায়ের বয়সি একজন জাতীয় নেত্রীর বক্তব্যের বিকৃত ও মিথ্যা প্রচার করে জয় জনগনের মাঝে যে অসন্তোষের বীজ বুনতে চেয়েছেন,তা কোনো ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয় বলে ফেসবুকে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
খালেদা জিয়া ‘৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং দেশের মুখে থুতু ফেলছে’ মন্তব্য করে তার বাড়ির সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানানোরও আহ্বান জানিয়েছেন জয়।
তিনি বলেন, খালেদা পাকিস্তানে ফিরে যা। সে এখন থুতু ফেলেছে ৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং থুতু ফেলেছে আমাদের দেশের মুখে। এরপর আমার আর এই মহিলার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই। আমি ঘৃণা করি যে, সে কোন সময় আমাদের জাতির প্রধানমন্ত্রী ছিল। সে একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। সে বারংবার আইএসআই এজেন্টদের সাথে মিলিত হয়েছে এবং নির্বাচনগুলোতে আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে ইংরেজি ও বাংলায় দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
জয়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
‘আমি ক্ষুব্ধ যে বিজয়ের মাসে খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। খালেদা নৃশংস পাক আর্মি ও তাদের সহযোগী খুনি জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আমাদের নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাকে পাকিস্তানিদের মতোই কমিয়ে বলে আসছে।
সে দাবি করছে মাত্র কয়েক শত হাজার হত্যা হয়েছে। আজ বিএনপি এমনকি সেই মৃতের সংখ্যার উপর জনমত জরিপ করতে বলছে! স্বীকৃত সত্য সব সময়ই সত্য। সেটা কখনও জরিপ দিয়ে নির্ণীত হয় না।’ ‘৩০ লক্ষ পুরুষ, নারী এবং শিশুকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছিল। হিন্দুদের নির্যাতন ও দেখামাত্র গুলি করা হয়েছিল। সমস্ত গ্রাম উজাড় করে ফেলা হয়েছিল।
এমনকি যখন তারা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছিল তখনও তারা আমাদের সেরা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে সবাইকে হত্যা করেছিল। এগুলো যুদ্ধে হতাহতের কোনো ঘটনা ছিল না। এসব ছিল গণহত্যা।’ ‘খালেদা এখন আবারও এইসব খুনিদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছে। সে নৃশংসতার শিকার মানুষগুলোর মন্ত্রী বানিয়েছে সেই খুনিদেরই।
সে এখন থুতু ফেলেছে ৩০ লক্ষ শহীদের কবরে এবং থুতু ফেলেছে আমাদের দেশের মুখে। এরপর আমার আর এই মহিলার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা অবশিষ্ট নেই। আমি ঘৃণা করি যে, সে কোন সময় আমাদের জাতির প্রধানমন্ত্রী ছিল। সে একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। সে বারংবার আইএসআই এজেন্টদের সাথে মিলিত হয়েছে এবং নির্বাচনগুলোতে আইএসআই থেকে টাকা নিয়েছে। তার বাংলাদেশ থেকে বিদায় হওয়া এবং তার ভালোবাসার পাকিস্তানে গিয়ে থাকা উচিৎ।
‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি খালেদার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে যান। বিএনপি এবং তাকে দেখান যে তার পাকি প্রভুরা এবং জামায়াতি পোষা গুণ্ডারা আমাদের ভাই এবং বোনেদের যে হত্যা করেছে সেই স্মৃতি অপপ্রচার চালিয়ে মুছে ফেলা যাবে না। আমার সাথে একত্রে দাবি জানান, খালেদা পাকিস্তানে ফিরে যা।’