ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের রাজনীতিতে তুই-তোকারির সংস্কৃতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে শুরু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফোয়েল আহমেদ। ব্যক্তিগতভাবে এই সংস্কৃতি তার পছন্দ নয় বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
অথচ কে না জানে বঙ্গবন্ধু তার অধিনস্থ রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তাদেরও তুই বলে সম্বোধন করতেন । তোফায়েল আহমেদ নিজেই তার সাক্ষী ।শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া কখনও কাউকে প্রাকাশ্যে তুই তোকারি করেছেন বলে শোনা যায়নি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তোফায়েল। এদিকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বেগম জিয়ার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে আজ গুলশানে যে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয় সেখানে দেখা যায় প্ল্যাকার্ডে তুইবোধক সম্বোধন।
তার আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ফেসবুক স্ট্যাটাসে বেগম জিয়াকে তুইবোধক সম্বোধন করেন। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে অবশ্য তা পরিবর্তন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে মর্মাহত হয়েছেন বলেও জানান তোফায়েল।
তিনি বলেন, এটা শুধু পাকিস্তান বলে। ৩০ লাখ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছে এটা শুধু তারা স্বীকার করে না। আর করেন না খালেদা। এতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি পাকিস্তানি।
মন্ত্রী বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার ডাকা অবরোধ এখনো চলছে। কিন্তু দেশ ও সব কিছু স্বভাবিক রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যদি না করতে পারতাম তাহলে দেশে থাইল্যান্ডের মতো অবস্থা হতো। সেখানে নির্বাচন শেষ না হতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। ২০১৯ সালে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আ.লীগ সরকারের মেয়াদ। এটার ৯০ দিন আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা শেখ হাসিনার অধীনে হবে।
তোফায়েল বলেন, আন্দোলন নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন করতে হবে- খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যে প্রমাণিত হয় তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। এর জন্য তাকে ধন্যবাদ।