দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ মাত্র কয়েক ঘণ্টার সিদ্ধান্তে বিয়ে। সন্ধ্যায় আলাপ শুরু, রাত ১১টার মধ্যে ‘কবুল’ বলে ফেলেছেন! ভাগ্যিস বর-কনে নিলয়-শখ একে অপরের পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তাদের দীর্ঘ প্রেম-বিরহের গল্প তো সবারই কম-বেশি জানা। তবে মিডিয়া বন্ধুদের এভাবে ‘বিয়ে’ সারপ্রাইজ দেবেন- তেমন পরিকল্পনা মোটেও ছিল না তাদের। তাইতো এই ‘হঠাৎ বিয়ে’র ঘোর কাটতে খানিক সময় লেখেছে দুজনেরই।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মিডিয়া যখন তাদের বিয়ের খবরে নির্ঘুম প্রায়, তখন তারা সবরকমের সংযোগের বাইরে। এভাবে শুক্রবার বিকাল নাগাদ তারা নিরুদ্দেশ ছিলেন! কী মুঠোফোনে, কিংবা ফেসবুক-ভাইবারে-সবখানেই তাই। তবে এদিন বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফিরে পাওয়া গলে তাদের। প্রথমেই দু’জনে ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্ট্যটাসে পরিবর্তন আনেন।
এরপরই বেশ আয়েশ করে বিয়ে নিয়ে আলাপ করলেন নিলয়। বললেন, তাদের ‘হঠাৎ বিয়ে’র অনেক কিছু।
প্রশ্ন: সত্যি সত্যি বিয়ে করেছেন তো! গত রাত (বৃহস্পতিবার) থেকে অনেকেই তো ব্যঙ্গ করে বলছেন- এসব নাটকের গপ্পো…
নিলয়: এমনটা ভাবা স্বাভাবিক। কারণ নাটকে-সিনেমা-পত্রিকায় আমাদের বিয়ে তো কম হলো না। এটাও নাটকের গল্প ভাবলে দোষের কিছু নেই। তবে এবার আমরা সত্যিই বিয়ে করেছি। এবং সেটা পারিবারিকভাবে।
প্রশ্ন: হঠাৎ বিয়ের সিদ্ধান্ত কেন?
নিলয়: প্রেমের সফল পরিণতি বিয়েতেই হয়। আক্ষরিক অর্থে বিয়েটা ‘হঠাৎ’। কিন্তু আসলে কি তাই?
প্রশ্ন: আসলে কী?
নিলয়: আসলে মানসিক এবং পারিবারিকভাবে আমরা দু’জনেই দীর্ঘদিন পাশাপাশি হাঁটছি। যার গন্তব্য ছিল বিয়ে হয়ে সংসার। ফলে হুট করে বিয়ে বলাটা ঠিক নয়। দীর্ঘ প্রস্তুতির পরেই আমরা জীবনের এ বড় সিদ্ধান্ত নিই। আর এটি হয়েছে পরিবারের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে।
প্রশ্ন: সূত্র বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে গেন্ডারিয়ায় শখের বাসায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। নাকি অন্য কোথাও, অন্য কোনও সময়ে?
নিলয়: হুম, গেন্ডারিয়ায় হয়েছে। সূত্র ঠিক বলেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে। এর আগেও নয়, পরেও নয়।
প্রশ্ন: কাবিন কি দশ লাখ টাকা? এসব বিচ্ছিন্ন প্রশ্নের কারণ, তথ্যগুলো বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া। নিলয়: না, ঠিক আছে। তবে কাবিন দশ লাখ নয়। তথ্যটি ভুল। সঠিক তথ্য হচ্ছে দশ লাখ এক টাকা মাত্র (হাসি)!
প্রশ্ন: গেন্ডারিয়ায় শ্বশুরালয়েই আছেন নিশ্চয়ই?
নিলয়: না, না। গত রাতেই উত্তরায় চলে এসেছি, আমাদের বাসায়।
প্রশ্ন: একাই! নাকি নববধূও সঙ্গে নিয়েছেন?
নিলয়: কী বললেন? বিয়ে করে বউ ফেলে আসব কেন!
প্রশ্ন: শখ তাহলে এখন শ্বশুরালয়ে। সবকিছুই ঝটপট।
নিলয়: হুম, ঝটপট। আগে লম্বা সময় নিয়েছি, তাই এখন সব দ্রুত হচ্ছে।
প্রশ্ন: বিয়ের পর সংবর্ধনা বলে একটা আয়োজন হয়। তেমন কিছু?
নিলয়: সেটা অবশ্যই হবে। কারণ সবাই খুব গাল ফুলিয়ে আছে। একটা সংবর্ধনা তো হবেই। তবে এখনও দিনক্ষণ ভাবিনি। এখনও ঘোর কাটেনি আমাদের।
প্রশ্ন: হানিমুনের বিষয়টা নিশ্চই ঘোরের আগেই ফাইনাল করে রেখেছেন! পছন্দের কোনও স্থানে নিশ্চয়ই…
নিলয়: আমাদের পছন্দের দেশ অস্ট্রেলিয়া। তবে হানিমুন নিয়েও ভাবিনি এখনও। একটু সময় দিন। তাছাড়া আমাদের শ্যুটিং সিডিউলও আছে। ফলে এখন শ্যুটিংয়ে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছি, হানিমুনের নয়।
প্রশ্ন: তাহলে বিয়ের জন্য কদিনের ছুটি পেয়েছেন?
নিলয়: ছুটি নেওয়ার সুযোগ পেলাম কই! ১০ জানুয়ারি থেকে শ্যুটিংয়ে ফিরছি দুজনই।