ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাইবার অপরাধ দমনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের শাস্তির বিধান রেখে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ করতে যাচ্ছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এই আইন হলে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে যে বিতর্ক রয়েছে, তা দূর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা।
তবে সরকার বিরোধী মত এবং মুক্তমতামত রুদ্ধ করতেই এই কঠোর আইন করছে সরকার বলে সংশ্লিষ্ট গন মনে করেন। কারন বাংলাদেশের প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও ফেসবুক ,টুইটার সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম কোন অবস্থাতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে না পেরে এই নিবর্তনমূলক নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য বিগতদিনে মিশর সহ বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসক গন জন অসন্তোষ রুখতে এধরনের আইন করেছিলো কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রণীত আইনের খসড়া নিয়ে রোববার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়।
পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, নতুন আইনে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। এছাড়া অপরাধের ধরন অনুযায়ী সর্বনিম্ন শাস্তিও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
নতুন আইনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে জানান তিনি। আনিসুল বলেন, “সাইবার ক্রাইম এক সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।”
বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জগতে অপরাধের ঘটনাও ঘটতে থাকে। এর আগে প্রণীত তথ্য প্রযুক্তি আইনে অপরাধ দমনের ধারা থাকলেও তা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ওই আইনের ৫৭ ধারাকে মুক্ত চিন্তার অন্তরায় হিসেবে দেখে তা বাতিলের দাবিও উঠেছে। 0