ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পোশাক খাতে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে টিআইবি’র সাম্প্রতিক রিপোর্টকে সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
পোশাক খাতে তিনটি পর্যায়ে ১৬ ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত টিআইবি’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে আজ বিকালে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
গার্মেন্টস খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি’র সঙ্গে যৌথভাবে এ গবেষণা চালিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানি।
সেখানে বলা হয়, পোশাক খাতের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশি উপকরণ বা কাঁচামাল আমদানি করে তা খোলাবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
শুধু তাই নয়, গার্মেন্টস খাতের পুরো সাপ্লাই চেইনে মোট ১৬ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র পাওয়া গেছে। এসব অনিয়মের সঙ্গে গার্মেন্টস মালিক থেকে শুরু করে বিদেশি ক্রেতা বা বায়ার, নিরীক্ষক, মাননিয়ন্ত্রক ও মার্চেন্ডাইজাররাও জড়িত।
টিআইবি’র প্রতিবেদনটি একেবারেই ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সত্যের অপলাপ এবং দুরভিসন্ধিসমূলক বলে দাবী করেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা একে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের মনে হয়, টিআইবিকে গবেষণার মেথডলজি আরও ভালভাবে জানতে হবে। কারণ ৭৪ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক, উদ্যোক্তা ও ক্রেতার এই শিল্পকে নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করা কখনই শিল্পের জন্য সহায়ক নয়। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক মানের থার্ড পার্টি অডিটরসহ বিশ্বমানের স্টেক হোল্ডারদের ইন্টিগ্রিটি প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছে তা আমরা প্রত্যাখ্যা করছি। টিআইবি’র বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও ভাবেনি বিজিএমইএ।