ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা এবং বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীর বিরুদ্ধে দায়ের কৃত দেশদ্রোহীতা এবং ১০০ কোটি টাকার মানহানী মামলার প্রতিবেদন ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ এ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত ।
বঙ্গবন্ধু রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেম এই মর্মে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রতিবেদন এখনও দাখিল না করায় আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার দে এই তারিখ ধার্য করেন। মামলার অপর আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা এবং বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী।
গত বছরের ২৩ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কোতয়ালী থানার সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিন আদালত পল্টন থানাকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ইস্ট লন্ডনের দ্যা আট্টিয়াম অডিটোরিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেন। তিনি শখের বন্দী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসামি সাদী এক লিখিত বিবৃতিতে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করেন। এই বক্তব্য বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এবং সমস্ত প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ হয়, যা মানহানিকর।