ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এদেশে গায়ের জোরে একদলীয় একচেটিয়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। এতে গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি সামজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের মানুষ বর্তমানে অবৈধ নির্দয় শাসকগোষ্ঠীর শিকলে বন্দী হয়ে পড়েছে। শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বেগম জিয়া এসব কথা বলেন।
আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস ।
এই উপলক্ষ্যে বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে আমি ‘৬৯ এর গণআন্দোলনের মহান শহীদ আসাদুজ্জামানের অমলিন স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদ এক অবিস্মরণীয় নাম। সামরিক স্বৈরশাসনের কবল থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে অকুতোভয় এ বীর সেনানী রাজপথে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘তার শোণিতের ধারা বেয়ে স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল, অর্জিত হয়েছিল এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতন্ত্রের জন্য শহীদ আসাদের আত্মদান পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ‘আজও এদেশে একদলীয় একচেটিয়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে গায়ের জোরে। তাতে গণতন্ত্র ধ্বংসের পাশাপাশি সামজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হয়েছে। আইন, বিচার, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছু আইন অনুযায়ী নয় বরং ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছানুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশের মানুষ বর্তমানে অবৈধ নির্দয় শাসকগোষ্ঠীর শিকলে বন্দী হয়ে পড়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন শহীদ আসাদুজ্জামান। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে আমরা যদি এদেশের মানুষের মৌলিক ও মানবিক অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলেই তার প্রতি দেখানো হবে যথাযথ সম্মান।’
‘এমতাবস্থায় আজকের এই দিনে আমি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণই সবচেয়ে জরুরি কাজ বলে মনে করি। আর এজন্য আমি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দেশবাসী সকলের প্রতি আহ্বান জানাই,’ বলেন খালেদা জিয়া।