DMCA.com Protection Status
title="৭

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার ক্রমেই কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে উঠছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

Human-Rights-Watch

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ভিন্নমত প্রকাশের বিষয়টি মারাত্মকভাবে আক্রমণের মুখে পড়েছে।

গত বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন ছিল সেটি নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে একদিকে ধর্মনিরপক্ষে ব্লগার এবং বিদেশী নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাটি অভিযোগ করছে, অন্যদিকে আদালত অবমাননার মামলা এবং বিভিন্ন ধরনের অস্পষ্ট মামলা দায়ের করার মাধ্যমে গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের উপর ব্যপক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে ।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ক্রমেই ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ হয়ে উঠছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মন্তব্য করেছে।

সংস্থাটি বলছে নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী রাজনীতিবিদদের গ্রেফতার করে বিভিন্ন মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজ গত বছর কঠিন সময় পার করেছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়।

এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “ একজন সাংবাদিকের মতামত প্রকাশের অধিকার এবং ন্যায্য সমালোচনার পক্ষে দাঁড়াতে গিয়ে ৪৯ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।”

কারো নাম উল্লেখ না করা হলেও আদালত অবমাননায় ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজার বিষয়ে স্পষ্টত ইংগিত করা হয়েছে। কারণ সেই সাজার বিপক্ষে বিবৃতি দেবার কারণে দেশের ৪৯জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

সংস্থাটি বলছে সরকারের সমালোচনাকারী গণমাধ্যমগুলো হয়তো বন্ধ হয়ে গেছে নতুবা সাংবাদিক এবং সম্পাদকরা মামলার মুখোমুখি হয়েছেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেছেন বাংলাদেশের সংসদে কার্যত কোন বিরোধী দল নেই কারণ বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।

তিনি বলেন মনে হচ্ছে সংসদের বাইরেও শেখ হাসিনার সরকার কোন বিরোধী কণ্ঠকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দিতে চায়না। গত বছর বাংলাদেশে অন্তত পাঁচজন ব্লগার এবং একজন প্রকাশককে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজনকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে যারা হুমকির মুখে ছিলেন তাদের জন্য সরকারের দিক থেকে হয়তো কোন নিরাপত্তা ছিলনা নয়তো সেই নিরাপত্তা অপ্রতুল ছিল। জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপির অনেকে সদস্য গ্রেফতার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আতংকে রয়েছে বলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়। 0

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!