ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক বলেছেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি অপরাধ করে থাকে, এটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ। এতে পুলিশ বাথিনীর ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হবার কোনো কারন নেই।তবে কোনো পুলিশ সদস্যই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তার এ অপরাধের দায় পুলিশ বাহিনীর উপর বর্তাবে না। যেসব পুলিশ সদস্য অপরাধ করছে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, বরখাস্ত করা হচ্ছে, তদন্তের পর অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি প্রদান করা হচ্ছে।
সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শনিবার দুপুরে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর উদ্যোগে প্রথমবারেরর মত সিলেটে প্রবাসীদের অধিকার বিষয়ক ‘প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারের প্রথম অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
একেএম শহিদুল হক আরো বলেন, দেশে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক গঠন করা হয়েছে। ডেস্কের কার্যক্রম পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। এজন্য প্রবাসীরা যেন মিথ্যে মামলায় হয়রানির শিকার না হন সেটা নিশ্চিতে এবং তাদের সকল সমস্যার সমাধানে সরকার আন্তরিক।
আইজিপি আরো বলেন, গত ৬ মাসে প্রবাসী ডেস্কে সরাসরি ২৬৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া টেলিফোনের মাধ্যমে প্রায় ৭০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলোও নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।
শহিদুল হক বলেন, জনগণকে আরো বেশি করে সেবা দেয়ার জন্য সারাদেশে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইজিপি আরো বলেন, সারা বিশ্বে জঙ্গিবাদের প্রসার লাভ করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সহায়তায় জঙ্গিবাদ দাবিয়ে রেখেছে। পুলিশ জঙ্গিদের ধরছে, বিস্ফোরক উদ্ধার করছে। বাংলাদেশ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জঙ্গিবাদ দমন করে এগিয়ে যাচ্ছে।
সেমিনারের প্রথম সেশনে এইচআরপিবি এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অতিথি বক্তা ছিলেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাটওয়ারী, সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা, পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হ্যামলেট কাউন্সিলের স্পিকার এমএ মুকিত এমবিই, এইচআরপিবি ইউকে শাখার সহ সভাপতি এলাইছ মিয়া মতিন। প্রথম অধিবেশনে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এইচআরপিবি সিলেট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ুম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইচআরপিবি যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মো. রহমত আলী।