ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পুনর্গঠন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এ ব্যাপারে তারা কোনো চাপ প্রয়োগ করবে না। তবে পরবর্তী নির্বাচনের আগে কমিশনকে আরো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতায় আনার ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার বিকেলে ইইউ পার্লামেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কমিটির প্রধান জ্যঁ লাম্বার্ট বাংলাদেশে তিনদিনের সফর শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
লাম্বার্ট বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন কমিশন হিসেবে গঠন করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারকে আগামী নির্বাচনে সর্বাধিক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের পরিবেশও সরকারকেই করতে হবে।’
মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে জিন লাম্বার্ট বলেন, ‘ব্লগারসহ নানা ধরনের হত্যার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
মানুষের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার স্বাধীনতা দিতে হবে। এই স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে ব্লগার হত্যাসহ দেশে যেকোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করার জন্যও অনুরোধ জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির পক্ষে কেন ইইউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড নিয়ে নয়, বিশ্বের কোনো দেশে যেন মৃত্যুদণ্ড দেয়া না হয় সে আহ্বান সব সময়ই জানাই। সব সময় মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে ইইউ। তবে শুধু একজনের ফাঁসি কার্যকরের আগে উদ্বেগ প্রকাশ না করে প্রত্যেকটা ফাঁসি কার্যকরের পূর্বে আমাদের বিবৃতি দেয়া উচিত ছিল।’
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। তাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা জরুরি।’
পোশাক শিল্পের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রানাপ্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। ইইউ পোশাক খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।’