DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

তারেক রহমান ও সাদীর রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন ২৪ শে এপ্রিল’১৬

trsaddi copy

 ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘পাকবন্ধু’এবং অন্যান্য অসন্মানজনক ভাষায় সম্বোধন করায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈদেশীক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী বিরুদ্ধে করা দেশদ্রোহ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪শে এপ্রিল ২০১৬ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম ছাব্বির ইয়াসির এহসান চৌধুরী নতুন এ দিন ধার্য করেন। উল্লেখ্য গত বছরের গত ২৩ মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী । তিনি বাদী হয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। বাদী পক্ষের আইনজীবি এপিপি এ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন এই শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ২৭শে এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম ইউনুস খান পল্টন থানা পুলিশকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।এর পর প্রায় এক বৎসর পার হয়ে গেলেও পুলিশ বার বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ব্যর্থ হয়েছে।

এই মামলার অপর আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ উপদেষ্টা এবং বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ইস্ট লন্ডনের দ্য আট্টিয়াম অডিটোরিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু রাজাকার, খুনি ও পাকবন্ধু ছিলেন। তিনি শখের বন্দী ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই।

অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসামি সাদী এক লিখিত বিবৃতিতে দেশ ও বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও ফাঁসির দাবি করেন। ওই বক্তব্য বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে প্রচার ও প্রকাশ হয়। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তারই ফলশ্রতিতে এই দুজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা টি দায়ের করা হয়।

এ বক্তব্যে আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার সম্মানহানি হয়েছে দাবি করে দণ্ডবিধি ৪৯৯/৫০০ ধারায় মামলা করা হয়। উল্লেখ্য জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে বিতারনের উদ্দেশ্যই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে এসব মামলার অবতারনা বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

এ ব্যাপারে দেশনায়ক তারেক রহমানের আইনজীবি এ্যডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচাইতে নন্দিত এই সাবেক প্রধান মন্ত্রীর পূত্রের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়েই এই ম্যান্ডেট বিহীন সরকার ভিত্তিহীন অভিযোগে তাদের রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দুরে রাখতেই এই মামলাগুলোকে ব্যবহার করছে।

এ সময় আদালতে উপস্তিত ছিলেন এ্যাডঃ শাহাজাদী কহিনুর পাপড়ি, এ্যাডঃ নিলুফা ইয়াসমিন, এ্যাডঃ মোঃসেলিম খান, এ্যাডঃ আবদুল্লাল মামুন, এ্যাডঃ মো: আমিনুল ইসলাম, এ্যাডঃ মুক্তি, রেজাউল করিম রাজিব সহ বিপুল সংখক জাতীয়তাবাদী আইনজীবি গন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!