ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে মালয়েশিয়া।
শনিবার দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আহমাদ জাহিদ হামিদি এ তথ্য জানিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার জাতীয় দৈনিক স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন করে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক আনার প্রাথমিক পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত শ্রমিকদের মধ্যে যাদের কাজের অনুমতি নেই অথবা মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের বৈধতার জন্য আবেদন করতে হবে। বৈধতার আবেদনের শেষ সময় ৩০ জুন পর্যন্ত থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। দেশটির বাগান দাতোহ সংসদীয় আসনে গ্রাম প্রধানের কাছে শ্রমিক নিয়োগের কাগজপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় আহমাদ জাহিদ হামিদি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিকারী সমালোচকদের নিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলেন, যদি তারা কোনো বিদেশি শ্রমিক ভাড়া না করে, তাহলে তাদের (সমালোচকদের) মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ারস ফেডারেশন, ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারারস ও মালয়েশিয়ান ট্রেড ইউনিয়নে যাওয়া উচিত।
যারা স্থানীয় শ্রমিকদের খুঁজে বের করে কাজে নিয়োগ দেবে। তিনি বলেন, শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগদাতা ও অ্যাজেন্টদের আরো কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
এর আগেও গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানান মালয়েশিয়ার এই উপ-প্রধানমন্ত্রী। তার আগের দিনই ১৫ লাখ শ্রমিক নিয়োগে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চুক্তি সই হয়।
তবে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি রিচার্ড রায়ত বলেছিলেন, বাংলাদেশের ১৫ লাখ শ্রমিক নিয়োগের তথ্য সঠিক নয়।
অবশ্য এব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যয়নি।