ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এবার বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ পাচার ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতা এবং ব্যর্থতা ঢাকতে নতুন কাহিনীর অবতারনা করেছে হাসিনা সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক’ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লোপাটের ঘটনায় গভর্নর আতিউর রহমানকে অবিলম্বে অপসারণের দাবী তুলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং গুরুত্বপুর্ন নীতিনির্ধারক নূহ উল আলম লেনিন। সেই সঙ্গে আতিউর রহমানকে ড. মুহম্মদ ইউনুসের চেলা বলেও আখ্যায়িত করেন তিনি।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, আতিউরকে গভর্নরের পদ থেকে এখনই অপসারণ করা উচিত। পুরো ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে দোষী ব্যাক্তিদের এবং সেই সঙ্গে ড. মুহম্মদ ইউনুসের চেলা আতিউরকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।
তিনি আরও লিখেছেন, কোনও দলীয় অবস্থান থেকে নয় একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমি আমার অভিমত প্রকাশ করলাম। সংশ্লিষ্ট কারো সাথে আমার কোনও শত্রুতা বা স্বার্থের দ্বন্দ নেই। সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থে আমি জেনে বুঝে আমার অভিমত প্রকাশ করছি।
ফেইসবুক স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ তাত্বিক নেতা লেনিন লেখেন, ‘একটা কেলেঙ্কারির বিষয় মাসাধিক আগে জানা সত্বেও আতিউর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অর্থমন্ত্রী ও ব্যাংকিং বিভাগের সচিবকে জানাননি কেন?
(১) সচিব স্বয়ং গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে ইতোমধ্য দুবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সভা হলেও সেখানে বিষয়টি না বলে গোপন করা হয়েছে। কার স্বার্থ রক্ষার জন্য?
(২) এত বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা জানা সত্ত্বেও আতিউর কিভাবে নির্লিপ্ত থেকে দিল্লি ভ্রমণ করতে পারেন? কেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না?
(৩) টাকা চুরি যাওয়া এবং তথ্য গোপন করে দায়িত্বহীন আচরণের জন্য অবিলম্বে আতিউরকে গভর্নরের পদ থেকে অপসারণ করা উচিত।’ ‘পুরো ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে দোষী ব্যক্তিদের এবং সেই সঙ্গে ড. মুহম্মদ ইউনুসের চেলা আতিউরকে বিচারের সম্মুখীন করা উচিত।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা স্ট্যাটাসে আরও লেখেন- ‘আতিউর ব্যাংকের স্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে আতিউর দেশ বিদেশের বিভিন্ন পুরস্কার ও পদক সংগ্রহের জন্য গভর্নর পদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অথবা বেসরকারি ব্যাংকের অর্থ ব্যয় করেছেন। তদন্ত করে এর সত্যতা প্রমাণিত হলে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কী এমন সৃজনশীল প্রবন্ধ রচনা করে বাংলা সাহিত্যে আতিউর সমৃদ্ধ করলেন যার জন্য এ বছর তাকে “সামগ্রিক প্রবন্ধের জন্য” বাংলা একাডেমী পুরস্কার দেওয়া হলো?
এর পেছনেও নাকি অবৈধ প্রভাব কাজ করেছে? ফলে লেখালেখি করেন এমন ক্ষমতাবান আমলারাও বাংলা একাডেমীকে তাদের একাধিক বই প্রকাশ/ অনুবাদ এবং বাংলা একাডেমী পুরস্কার প্রদানে বাধ্য করেন।
অধস্তন কর্মকর্তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে আতিউর ও বড় আমলা গংরা পুরস্কার/পদক এবং নাম কেনার যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করেছে অবিলম্বে তা বন্ধ না করলে জাতির কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।’