ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮১০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করতে পারেন। তা না হলে যে কোনো সময় তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সোমবার ভারত সফর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। দেশে ফেরার পর তার পদত্যাগ কিংবা তাকে সরানোর মতো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার এক সদস্য জানান, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির বিষয়টি আজকের কেবিনেটে প্রকাশ্য আলোচনা হয়নি। তবে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী ক্ষুব্ধ ছিলেন। মন্ত্রিসভার শুরুতে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকটা ওয়ান ওয়ান কথাও বলেন।
এ সময় অর্থমন্ত্রীকে কিছুটা রাগান্তিত চেহারায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করানো কিংবা সরানোর বিষয়েই মূলত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
যে কোনো সময় গভর্নরের পদত্যাগ কিংবা সরানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও মন্ত্রিসভার ওই সদস্য ইঙ্গিত দেন। সোমবার মন্ত্রিসভায় তিনটি আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর একটি ছিল অবহিতকরণ।
তার মধ্যে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট আইন ২০১৬’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া ‘সার্ক যুব সনদের খসড়ার অনুমোদনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তাব করার পর মন্ত্রিসভায় এটিও অনুমোদন দেওয়া হয়।